ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:২২:৪৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বাংলাদেশের মাত্র ৬ গার্মেন্ট পেল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

| ২০ ভাদ্র ১৪২২ | Friday, September 4, 2015

garmentsনিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশের ছয়টি পোশাক কারখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। কারখানাগুলো হচ্ছে- গ্রীন টেক্সটাইল, কুন টং অ্যাপারেলস, লন্ড্রি ইন্ডাস্ট্রিজ, লেনি অ্যাপারেলস, অপটিমাম ফ্যাশনস ও ইউনিভোগ লিমিটেড। উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি এই স্বীকৃতি দিয়েছে।

অ্যালায়েন্স প্রতিষ্ঠার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানানো হয়। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক জেমস এফ মরিয়ার্টি।

‘আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি’ বাংলায় কথাগুলো বলে বক্তব্য শুরু করেন সাবেক এই মার্কিন রাষ্ট্রদূত। পরে ইংরেজিতে বক্তব্য দেন। যার বাংলা করলে হয়, ‘সদস্য কারখানাগুলোর শতভাগ পরিদর্শন শেষ হয়েছে। এসব কারখানা ভবনের কাঠামোগত, বৈদ্যুতিক ও অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত ছোট ও বড় ত্রুটি খুঁজে পাওয়া গেছে। এখন অ্যালায়েন্সের দেওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ছয়টি কারখানা সব ধরনের ত্রুটি সংস্কার করে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান অর্জন করেছে।’

অ্যালায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেসবাহ রবিন বলেন, ‘আটটি কারখানায় চূড়ান্ত পরিদর্শন হয়েছে। উত্তীর্ণ হয়েছে ৬টি। আগামী ১-২ দিনের মধ্যে কারখানাগুলোকে এই স্বীকৃতির সনদ দিয়ে দেওয়া হবে।’ তিনি জানান, অ্যালায়েন্সের সদস্য কারখানার সংখ্যা ৭৯০। এর মধ্যে সক্রিয় আছে ৬৬২টি। আর প্রথম সংস্কার যাচাই পরিদর্শন (আরভিভি) সম্পন্ন হয়েছে ৫২৮টি কারখানার।

অ্যালায়েন্সের পাশাপাশি ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট কারখানা পরিদর্শন করছে। তাদের সদস্য কারখানার মধ্যে দুটি কনকর্ড ফ্যাশন এক্সপোর্ট লিমিটেড ও জিকন সব ধরনের ত্রুটি সংস্কার করেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৮টি কারখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হলো।

এদিকে ছোট ও মাঝারি পোশাক কারখানার সংস্কারে অর্থায়নের জন্য তহবিল দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি। সংস্থাটির মিশন ডিরেক্টর জেনিনা বলেন, ‘চলতি মাসের শেষ দিকে অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। প্রাইম ব্যাংক ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মাধ্যমে কারখানা মালিকেরা এই তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারবেন।’

জেনিনা অর্থের পরিমাণ না বললেও অ্যালায়েন্সের কর্মকর্তারা জানান ১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের (১৪৪ কোটি টাকার মতো) ঋণ দিতে পারে মার্কিন দাতা সংস্থাটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো সেই সব কারখানাকে ঋণ দিচ্ছে যাদের সঙ্গে আগে থেকেই ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। সবাই যেন সমান সুবিধা পায় সে বিষয় নজর দেওয়ার দাবি জানান তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেমস মরিয়ার্টি সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন পোশাক শ্রমিক মারা যান। এ ঘটনার আড়াই মাস পর ১০ জুলাই কারখানা কর্মপরিবেশ উন্নয়নে অ্যালায়েন্স গঠন হয়। উত্তর আমেরিকার ২৬টি ব্র্যান্ড ৫ বছরের জন্য এ অ্যালায়েন্স গঠন করে।