ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১১:০৯:০৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৭০ বছর ১ মাস : বিবিএস এর জরিপ

| ১২ বৈশাখ ১৪২২ | Saturday, April 25, 2015

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ বছর ১ মাসে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) পরিচালিত মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এসভিআরএস) ১৩ সালের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে, যা ২০১২ সালের জরিপের প্রতিবেদনে ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস। তার আগে ২০১১ সালে ছিল ৬৯ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ বছর ৭ মাস এবং ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস। সর্বশেষ এ জরিপের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মানুষের গড় আয়ু দিন দিন বাড়ছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তাছাড়া এখন সুপেয় বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তির হার বেড়েছে। এ সব কারণে আগে যেসব প্রাণঘাতি রোগ-বালাই দেখা দিত। বিভিন্ন রোগে মহামারি হয়ে মানুষ মারা যেত, এখন সেসব আর নেই বললেই চলে। ফলে মানুষের গড় আয়ু ৪৩ বছর থেকে বেড়ে এখন ৭০ বছর ১ মাস হয়েছে।
প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পুরুষের চেয়ে নারীদের গড় আয়ু বেশি। পুরুষের গড় আয়ু হচ্ছে ৬৮ বছর ৮ মাস, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৮ বছর ২ মাস, ২০১১ সালে ৬৭ বছর ৯ মাস, ২০১০ সালে ৬৬ বছর ৬ মাস এবং ২০০৯ সালে ছিল ৬৬ বছর ১ মাস।
অন্যদিকে নারীদের গড় আয়ু হচ্ছে ৭০ বছর ৪ মাস, যা ২০১২ সালে ছিল ৬৯ বছর ৪ মাস, ২০১১ সালে ৬৯ বছর, ২০১০ সালে ৬৭ বছর ৭ মাস এবং ২০০৯ সালে ৬৭ বছর ২ মাস।
প্রতিবেদন ফলাফলে দেখা যায়, পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যর হার কমেছে। এ সূচক দাঁড়িয়েছে মোট (পুরুষ ও মহিলা মিলে) ৪১-এ, যা ২০১২ সালে ছিল ৪২, ২০১১ সালে ৪৪, ২০১০ সালে ৪৭ এবং ২০০৯ সালে ছিল ৫০-এ। এক্ষেত্রে পুরুষ শিশুমৃত্যুর হারের সূচক দাঁড়িয়েছে ৪২, ২০১২ সালে সূচক ছিল ৪৩, ২০১১ সালে ৪৫, ২০১০ সালে ৫০ এবং ২০০৯ সালে সূচক ছিল ৫২। অন্যদিকে মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে দেখা যায়, মৃত্যুর হারের সূচক হচ্ছে ৪০, ২০১২ সালে ছিল ৪১, ২০১১ সালে ৪৩, ২০১০ সালে ৪৩ এবং ২০০৯ সালে সূচক ছিল ৪৮।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে কিছুটা বেড়েছে। এ হার দাঁড়িয়েছে বার্ষিক এক দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা ২০১২ সালে ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ, ২০১১ সালে ছিল এক দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২০১০ সালে ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং ২০০৯ সালে ছিল এক দশমিক ৩৬ শতাংশ।