গুলশান ও শোলাকিয়ায় ঈদগাহে হামলার পর বরিশালের পাষানময়ী কালিমাতার মন্দিরে বেনামী একটি হুমকির চিঠি পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় মন্দিরের প্রনামী থালায় ওই চিঠিটি দেখতে পায় মন্দিরের পুরোহিতের স্ত্রী। ওই মন্দিরের পুরোহিতের স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সন্ধ্যায় মন্দিরে পূজা করতে আসায় মন্দিরের মূল দরজা খোলার পর প্রনামী থালায় একটি কাগজ দেখতে পাওয়া যায়। পরে সেটি খুলে দেখতে পাই পুরোহিত হত্যার হুমকি মূলক একটি চিঠি। এরপরই বিষয়টি মন্দির কমিটিকে জানাই। মন্দির সেবাইত দুলাল ভট্টাচার্য জানান, দুপুর ২টার পর মন্দিরের সদর দরজা বন্ধ করা হয় প্রতিদিনের মত। পরে পৌনে ৬টায় মন্দিরে গিয়ে দেখতে পাই ভাজ করা একটি চিরকুট। যাতে লেখা ছিল….. ” হত্যা কিলিং টার্গেট মিশন এবার বরিশালে অবস্থান করছে। বরিশালের সমস্ত মন্দিরের পুরোহিত এবং হিন্দু সংগঠনের নেতাদের মৃত্যু অনিবার্য। সকল হিন্দু ধর্মের নেতা, চাকুরিজীবি এবং সাধারণ নাগরিকদেরও একে একে হত্যা করা হবে। বরিশালের বিএনপির এক নেতা এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান জনপ্রিয় নেতার সহযোগিতায় হত্যা ও টার্গেট কিলিং মিশন সফল করা হবে। পুলিশ র্যাব, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেউ এই হামলা ও হত্যা ঠেকাতে পারবে না। হিন্দুরা বাঁচতে চাইলে ভারত চলে যাও।” এঘটনায় রাতেই বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করে মন্দিরের সেবাইত দুলাল ভট্টাচার্য। বরিশাল পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত দত্ত লিটু বলেন, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু ধর্মের লোকজনকে বিতাড়িত করার জন্য এরকম হুমকি দিচ্ছে একটি গোষ্ঠি। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই আমাদের মন্দিরে যেন নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়। এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ মো. আওলাদ হোসেন জানান, বরিশালের সব মন্দিরেই আগে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। নগরী জুড়ে গোয়েন্দা নজরদারীতো রয়েছে। আর ডায়েরীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে বরগুনা এবং ভোলা জেলায় মন্দিরে হামলার হুমকি দিয়েছিল একটি গোষ্ঠি যার রেশ কাটতে না কাটতে বরিশালে হামলার হুমকি দেওয়া হল।