ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১২:৪১:১৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

বন্যা প্লাবিত এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে : মায়া

| ৩১ আষাঢ় ১৪২৪ | Saturday, July 15, 2017

জামালপুর : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা প্লাবিত এলাকায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে চিকিৎসকদের নিয়মিত ভিজিট করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট সরবরাহের পাশাপাশি ওরস্যালাইন মজুদ রাখতে হবে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি ও অবহেলা বরদাস্ত করা হবেনা।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া শুক্রবার জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংসদ সদস্য রেজাউল করিম হীরা ও মেহজাবিন খালেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণমন্ত্রী চলমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলাক সরকারি কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির অনেক সদস্য সভায় উপস্থিত না থাকায় মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে এই অনুপস্থিতিকে দায়িত্বে অবহেলা হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, যেসব কর্মকর্তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় অনুপস্থিত রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্থায়ী আদেশাবলী অনুযায়ী তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রতিবেদনসহ স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য মন্ত্রী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। বন্যা মোকাবিলায় যে কোন কর্মকর্তার অবহেলা বা অনিয়ম কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
জামালপুর জেলায় ত্রাণ বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ৩২৫ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল। আজকের সভায় নতুন করে আরও ২০০ মেট্রিকটন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়।
সরকারের ত্রাণসামগ্রীর অভাব নেই বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন। সুষ্ঠু ও পরিকল্পিতভাবে বন্যা প্লাবিত সকল মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য তিনি দলীয় কর্মীদের অনুরোধ করেন।
মন্ত্রী পরে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।