নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কালিপূজার উৎসব চলার সময় নাচতে না পেরে একদল বখাটে একটি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে।
এসময় নারীসহ চারজনকে মারধর করে ভাংচুর চালায় বখাটেরা।বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ফতুল্লার যমুনা ডিপোর পাশে অবস্থিত ঋষিপাড়া কালি মন্দিরে এঘটনা ঘটে।
এতে আহত হয়েছেন পারুল রানী (৬০), গণেশ দাস (৪৫),সাগর (৩৫) ও রতন (৩০)। আহত গণেশ দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মন্দিরে কালিপূজার উৎসব চলছিলো।
তখন মিউজিকের তালে শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ সবাই উৎসব মেতে উঠে। এসময় স্থানীয় বখাটে যুবক সিয়াম ও তানভিরসহ প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন মন্দিরে এসে হাজির হয় এবং কাউকে কিছু না বলেই নাচতে শুরু করে।
এসময় তাদের বার বার চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করার পরও তারা তাতে কর্নপাত করেনি। এক পর্যায়ে আমরা মিউজিক বন্ধ করে দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে হাড়ি পাতিল ভাংচুর করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখে।
তখন এর প্রতিবাদ জানালে ওই বখাটেরা নারীসহ ৪জনকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পক্ষথেকে জানানো হয়েছে , বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। তবে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপরোক্ত ঘটনায় গত ১০ /০২/২০১৭ইং তারিখ বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ,ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের একটি প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর খোজ খবর নিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের প্রেসিডেন্ট এ্যাড.রবীন্দ্র ঘোষ
এর প্রতিনিধিত্বে সাথে ছিলেন সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার ও সিনি:সহ-সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট,মানবাধিকারকর্মী পম্পা মূর্খাজী, দিলীপ সরকার প্রমুখ। প্রতিনিধিদল ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে শান্তনা দিয়ে সার্বক্ষনিক পাশে থাকা ও আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।এবং অবিলম্বে এই হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতি পূরণের ব্যাবস্থা করতে সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানান।
পরে প্রতিনিধি দল পাগলার পাগলনাথ মন্দির পরিদর্শন করেন পরিদর্শনকালে মন্দিরের সেবায়েত বলেন একটি চক্র এই মন্দিরের কিছু অংশ দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা তার ক্ষতি সাধনের চেস্টা করছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।