ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৮:৫৭:৫৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

প্রেসক্রিপশন যাতে পড়া যায়, সার্কুলারের নির্দেশ হাই কোর্টের

| ২৬ পৌষ ১৪২৩ | Monday, January 9, 2017

স্পষ্ট অক্ষরে ‘পড়ার উপযোগী করে’ চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র লেখার নির্দেশনা দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ৩০ দিনের মধ‌্যে সার্কুলার জারির নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।  সেই সঙ্গে রোগীর ব‌্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম লিখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি হয়েছে।  স্বাস্থ‌্য সচিব, স্বাস্থ‌্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ‌্যে এর জবাব দিতে হবে।  এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেয়।  ‘দুর্বোধ্য ব্যবস্থাপত্র: ভুল ওষুধ গ্রহণের ঝুঁকিতে রোগীরা’ শিরোনামে গত ১৭ ডিসেম্বর বণিক বার্তায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ‌্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত সপ্তাহে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করে।  সোমবার এই আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।  ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসকের দুর্বোধ্য হাতের লেখার কারণে একদিকে রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, অন‌্যদিকে লেখা পড়তে না পেরে ফার্মেসি থেকে প্রায়ই ভুল ওষুধ গছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে রোগীরা মারাত্মক স্বাস্থ‌্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।  অভিযোগ রয়েছে, অনেক চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার বিনিময়ে ব‌্যবস্থাপত্রে ওই নির্দিষ্ট কোম্পানির তৈরি ওষুধের নাম লেখেন। এতে করে রোগীরা কখনও বেশি দামে আবার কখনও মানসম্মত নয়- এমন ওষুধ কিনতে বাধ‌্য হন।  এ কারণে পাশের দেশ ভারতে রোগীর প্রেসক্রিপশনে বড় হরফে ওষুধের জেনেরিক নাম (একটি ওষুধের মূল কেমিকেল কম্পোজিশনের নাম) লেখার নিয়ম থাকলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো আইন নেই।  এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাই কোর্ট গতবছর ফেব্রুয়ারিতেও একটি রুল জারি করেছিল।  ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক নাম স্পষ্ট করে লিখতে বিধি তৈরির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ওই রুলে।  ওই রিটকারীর বক্তব‌্য ছিল, চিকিৎসকরা ব‌্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম না লিখে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ব্র্যান্ড নাম লেখায় রোগীরা সেই কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য হন। প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নাম থাকলে রোগী ফার্মেসিতে ওই নাম দেখিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো কোম্পানির ওষুধ কিনতে পারবে।