ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:২৮:৫৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

‘প্রাণভিক্ষার আলোচনা করতে ছেলেকে চাই’

| ১৬ ভাদ্র ১৪২৩ | Wednesday, August 31, 2016

 

ব্যারিস্টার ছেলের সঙ্গে আইনি পরামর্শ করতে তাকে ফেরত চেয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।

খন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, ‘তিনি বলেছেন তার বড় ছেলে ব্যারিস্টার আহমেদ বিন কাশেম একজন আইনজীবী। ২২ দিন আগে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে বড় ছেলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাই পরামর্শের জন্য তাকে আগে ফেরত চান মীর কাশেম আলী।’

পরিবারের মোট ১০ জন সদস্য বুধবার বেলা ২টার দিকে মীর কাশেমের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য কারাগারে প্রবেশ করেন।

স্ত্রী ছাড়াও মীর কাশেমের মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া, তাহেরা তাসনিম, পুত্রবধু শাহেদা তাহমিদা, তাহমিনা আক্তার, তার ভাতিজা হাসান জামান খানসহ আরও ৪ শিশু দেখা করতে চান।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় পড়ে শুনানো হয়েছে।

রায় পড়ে শোনার পর তাকে কিছুটা চিন্তিত ও চোখে মুখে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন সংক্রান্ত বিষয়ে সময় চেয়েছেন বলে কারা সূত্র জানায়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মীর কাসেম আলীকে তার রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক খারিজ হওয়ার রায় পড়ে শুনানো হয়।

কারা সূত্র জানায়, সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে রায় পড়ে শুনানো হলে তাকে কিছুটা চিন্তিত মনে হচ্ছিল। তার চোখে মুখে উদ্বেগ লক্ষ্য করা গেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন করবেন কি না এ সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাইলে মীর কাসেম আলী সময় চেয়েছেন। তার এ সময় চাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

মঙ্গলবার সকালে মীর কাসেম আলী কারাগারে তার কাছে থাকা রেডিওর মাধ্যমে তার রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায় শুনেছিলেন।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মীর কাসেম আলীর রিভিউ খারিজ সংক্রান্ত রায়ের কপি গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ পৌঁছে দেয়া হয়। রাত অনেক বেশী হওয়ায় রাতে মীর কাসেম আলীকে তা পড়ে শুনানো হয়নি। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে পড়ে শুনানো হয়।

৬৩ বছর বয়সী মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে তিনি এ কারাগারে রয়েছেন। ২০১৪ সালের আগে তিনি এ কারাগারে হাজতবাসকালে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে পাঠানো হয়।