ঢাকা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:৩৬:৩০

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রধানমন্ত্রী সোমবার ইন্দোনেশিয়া যাচ্ছেন

| ২১ ফাল্গুন ১৪২৩ | Sunday, March 5, 2017

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইন্ডিয়ান ওসান রিম এ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ)’র ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার তিনদিনের সরকারি সফরে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী ২১টি দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওআরএ গঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গতকাল বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১০৮৬) সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে জাকার্তার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় জাকার্তার হালিম পারদনা কুসুমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মেজর জেনারেল আজমল কবির এবং ইন্দোনেশিয়ায় সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রাসহকারে রাজধানী জাকার্তার বিশেষ অঞ্চল সেন্ট্রাল জাকার্তা সিটির হোটেল সাংগ্রিলায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইন্দোনেশিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলে অবস্থান করবেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফরের প্রথম দিনে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারের (জেসিসি) প্লিনারি হলে লিডার্স ওয়েলকামিং ডিনারে অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে সকালে এ্যাসেম্বলি হল-৩-এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে তিনি সম্মেলনের ‘অ্যাডপসন অব দ্য এজেন্ডা অ্যান্ড প্রোগ্রাম অব ওয়ার্ক’ বিষয়ক ওপেনিং অধিবেশনে যোগ দেবেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনের পরে দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। একটি সম্মেলনের প্রতিবেদনগুলোর সারসংক্ষেপ অধিবেশন এবং অপরটি ‘এডপশন এন্ড সাইনিং অব আউটকাম ডকুমেন্ট অব সামিট’। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দু’টি অধিবেশনেই যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ‘স্ট্রেংদেনিং মেরিটাইম কো-অপারেশন ফর এ পিসফুল, স্টেবল এন্ড প্রোপারাস ইন্ডিয়ান ওশান রিম’ শীর্ষক এক সাধারণ ডিবেট অধিবেশনে যোগ দেবেন।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের প্রতিনিধিদলের প্রধানদের সঙ্গে এক মধ্যহ্নভোজে অংশ নেবেন এবং সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান ও সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনদিনের সফর শেষে বুধবার শেখ হাসিনা জাকার্তার হালিম পারদনা কুসুমা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি একই দিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছবে।
ইন্দোনেশিয়া আইওআরএ সভাপতি দেশ হিসেবে রাজধানী জাকার্তায় প্রথমবারের মতো ৫ থেকে ৭ মার্চ তিন দিনব্যাপী ‘স্ট্রেনথিং মেরিটাইম কো-অপারেশন ফর এ পিসফুল, স্ট্যাবল এন্ড প্রোসপারাস ইন্ডিয়ান ওশান’ শীর্ষক সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দদের নিয়ে এই লিডার সামিটের আয়োজন করবে।
সম্মেলন আইওআরএ’র ২১টি সদস্য রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ এবং ৭ ডায়লগ পার্টনার ছাড়াও অন্যান্য বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এটি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে বহুমাত্রিক কার্যে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে একটি টেকসই কাঠামো স্থাপন এবং এই অঞ্চল যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে তা মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা স্থাপনে একটি ‘গেইম-চেঞ্জার’ হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সম্মেলনে আইওআরএ’র কৌশলগত প্রতিবেদন ‘আইওআরএ কনকোর্ড’ এবং ‘আইওআরএ এ্যাকশন প্লান’ ছাড়াও ‘আইওআরএ ডিকলারেশন অন কাউন্টারিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম লিডারিং টু টেরোরিজম’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হবে। এসব কৌশলগত প্রতিবেদনে আইওআরএ’র ভবিষ্যৎ লক্ষ্যমাত্রা প্রতিফলিত হবে।
সংগঠনটি প্রথম ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে ভারতীয় মহাসাগরাঞ্চল মরিশাসে গঠিত হয় এবং ভারত মহাসাগরাঞ্চলে একটি বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে ১৯৯৭ সালের ৬ থেকে ৭ মার্চ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কমোরোস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাসকার, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সিসিলি, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রিলংকা, তাঞ্জানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন।
মরিশাসের ইবেনিন-এ সংগঠনটির সমন্বয় সচিবালয় অবস্থিত।