ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:২০:০৮

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতুর উদ্বোধন করবেন কাল

| ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬ | Friday, May 24, 2019

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দু‘টি উদ্বোধন করবেন।’
একই দিন প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের আন্তঃনগর ট্রেনের শুভ উদ্বোধন করবেন।
বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আবু সালেহ মো. নুরুজ্জামান জানান, নবনির্মিত কাঁচপুর ব্রীজ ইতোমধ্যেই যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। নতুন দু‘টি সেতু চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা কিছুটা হলেও আরামদায়ক হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর উপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন।
নুরুজ্জামান জানান, জাপানী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেম্স কোম্পানী লি.২০১৬ সালের জানুয়ারীতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর ব্রীজের কাজ শুরু করে।
এই তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে, ৮ হাজার ৪শ’ ৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪শ’ ৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পে প্রস্তাবিত ব্যয়ের তুলনায় ১ হাজার কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাইতে হলি আর্টিজান বেকারীতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে।
এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়।
প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।

নুরুজ্জামান জানান, ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়।
তিনি আরো জানান, নতুন কাঁচপুর সেতু পুরানোটির চেয়ে প্রস্থে ২ মিটার বেশি। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই পুরানো সেতুর সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, যথাক্রমে এক হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১,৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নুরুজ্জামান আরো জানান, জনসাধারণের ঈদ যাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেয়া হবে।
বন্দর নগরী ও রাজধানীর মধ্যে দুটি যাতায়াত পথ মেঘনা ও গোমতি সেতুতে এসে এক হয়ে গেছে। প্রযুক্তিগতভাবে পুরানো কাঁচপুর সেতুতে দুটি যাতায়াত পথ থাকলেও এর প্রশস্ততা যথেষ্ট নয়।
এমতাবস্থায় সেতুর মুখে এসে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদ ও সপ্তাহের শেষে যখন যান চলাচল বেড়ে যায় তখন পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে।
যাত্রী ও চালকগণ ১৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যস্ততম এই পথে পাঁচ ঘন্টার স্থলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টায় গন্তব্যে পৌঁছেন।