ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৪:১৪:৪১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে কাঁদলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত

| ২০ আষাঢ় ১৪২৩ | Monday, July 4, 2016

 

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলায় নিহতদের মরদেহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপস্থিত নিহতদের স্বজনরা নিজ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীও আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন।

গত শুক্রবার রাতে গুলশানের ওই হামলায় নয়জন ইতালীয় নাগরিক জঙ্গিদের হাতে নিহত হন।

আজ সোমবার সকালে নিহতদের স্মরণে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমার কাছে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আধা মিনিট তার সঙ্গে কথা বলেন। এর এক পর্যায়ে ইতালির রাষ্ট্রদূত শেখ হাসিনার হাত ধরে কেঁদে ওঠেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে মঞ্চে ফুল দেয়ার পর কিছুক্ষণের জন্য কফিনগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সঙ্গেও কিছু সময় কথা বলেন। গুলশানের হত্যাকাণ্ডে সাতজন জাপানি নাগরিককে হত্যা করা হয়।

রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের জনগণকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মঞ্চ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ১৪ দল, ১১ দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে যে মঞ্চটি তৈরি করা হয়, সেখানে তিনটি মরদেহ ছিল। দুটি কফিন ঢাকা ছিল বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে। আরেকটি ঢাকা ছিল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা দিয়ে। হামলায় পাঁচ দেশের নাগরিক নিহত হওয়ায় মঞ্চের পেছনে পাঁচটি দেশের পতাকা টাঙানো হয়। মাঝে ছিল বাংলাদেশের পতাকা। বাঁ দিকে প্রথমে ভারতের এরপর ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা ছিল।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ইতালির রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটি কোনও দেশের একার সমস্যা নয়। আমাদের উচিত স্কুল-কলেজের যুবকদের ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তরুণদের প্রতি আমার অনুরোধ, উগ্র মতাদর্শের আহ্বানে কান দেবেন না। আমরা সবাই মুক্ত মানুষ, সবাই মিলে মুক্ত হিসেবে বাঁচব।’