ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২২:২৯:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

প্রত্যেক শিশুর মেধা ও সৃজনশীলতাকে মানবিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে গড়ে তুলতে হবে : সংস্কৃতি মন্ত্রী

| ৬ কার্তিক ১৪২৩ | Friday, October 21, 2016

ঢাকা: সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, প্রত্যেক শিশুর মেধা আছে এবং তারা সৃজনশীলও। তাই তাদের এ শক্তিটাকে মানবিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য শিশু-কিশোরদের লেখাপড়ার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্যে দিয়ে বড় করে তুলতে হবে। আর এটা করতে পারলেই সমাজের জন্য মঙ্গল হবে।
আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক সন্তানদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিআরইউ’র প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে মন্ত্রী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে ডিআরইউ ক্যান্টিনে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ঘুরে দেখেন।
সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সংস্কৃতি মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার শুধু অর্থনতিক উন্নয়নই নয়, সেই সাথে মানবিক, সাংস্কৃতিক ও উদার সমাজ গঠনেও কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারের এ উদ্যোগে শিশু-কিশোরদের অভিভাবকদের সহযোগিতা তাদের একান্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিভাবকরা শিশুদের গল্পের বই পড়ে শোনাবেন, ছবি আঁকতে দেবেন, ভাল যা কিছু করতে চায়, করতে দেবেন। এতে তার বাইরের জানালাগুলো খুলে যাবে, বই পড়ায় অভ্যাস হবে। তারা কখনই বিপথগামী হবে না।
নূর বলেন, শিশুরা যখন স্কুলে যায়, তখন ক্লাসের সকলের সাথেই বন্ধুত্ব করে। কারণ তারা তখন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র কিছুই বিচার করে না। কিন্তু বড়দের অনেককেই এ বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা করতে শোনা যায়।
তিনি বলেন, শিশুদের যদি ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতি চর্চার মধ্যেদিয়ে গড়ে তোলা যায়, তাহলে সে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে বড় হবে। তার মধ্যে ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের ভেদটা আর থাকবে না।
নূর বলেন, বর্তমান সরকার সেভাবেই সমাজটাকে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।
শিশু-কিশোরদের জন্য ডিআরইউ’র এ সাংস্কৃতিক চর্চার আয়োজনের প্রশংসা করে তিনি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিআরইউ’কে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
বয়সভিত্তিক এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ‘ক’ বিভাগ থেকে আবৃত্তিকে ২৫ জন, সঙ্গীতে ১৫ জন ও চিত্রাঙ্কনে ২৬ জন, ‘খ’ বিভাগ থেকে আবৃত্তিতে ১৮ জন, সঙ্গীতে ১২ জন ও চিত্রাঙ্কনে ২১ জন এবং ‘গ’ বিভাগ থেকে আবৃত্তিতে ৪ জন, সঙ্গীতে ৪ জন ও চিত্রাঙ্কনে ৭ শিশু-কিশোর প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে।
বিকেলে এ সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, এমপি প্রধান অতিথি থাকবেন।