ঢাকা : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করি, এবারের প্রতিবন্ধী দিবসের এটাই হোক অঙ্গীকার।’
মো.আবদুল হামিদ বলেন, সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং সমাজের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিবর্গ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে সস্পৃক্ত হলে তাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত হবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘২৫তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৬’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘এ দিবস উপলক্ষে আমি দেশের সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত সকল ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ, আমাদের আপনজন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নসহ তাদের মূল¯্রােতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে এ বছর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ি, ১৭টি লক্ষ্য অর্জন করি’ - যা খুবই যুগোপযোগী বলেও তিনি মনে করেন।
বিশ্বকে সকলের জন্য বাসযোগ্য করতে টেকসই উন্নয়নের বিকল্প নেই উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ওপর জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে তিনি আন্তরিক প্রয়াস চালানোরও আহ্বান জানান। কারণ এগুলোর মধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে।
রাষ্ট্রপতি বাণীতে উল্লেখ করেন, ‘আমি বিশ্বাস করি টেকসই উন্নয়নে নির্ধারিত ১৭টি লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে।
আবদুল হামিদ বলেন,বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিক। তাদের কল্যাণে সরকার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল, প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণসহ প্রতিবন্ধী ও অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
রাষ্ট্রপতি ২৫তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ১৮তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস-২০১৬ এর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।