ঢাকা, মে ১৯, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৯:০৪:২২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা দুদক নয়, তদন্ত করবে পুলিশ

| ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Friday, June 10, 2016

 

প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলা দুদক নয়, তদন্ত করবে পুলিশ

প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার তদন্তভার আবারো পুলিশের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৬’ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। তবে সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারি ও ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার ভার দুদকের হাতেই থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে সংসদ কার্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের আগে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও ফখরুল ইমামের দেওয়া দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া অন্য সংশোধনীগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়। বিলটি পাস হওয়ায় সরকারি সম্পত্তি এবং সরকারি ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন সংক্রান্ত প্রতারণা বা জালিয়াতি মামলা ছাড়া অন্যসব প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলার দায়িত্ব পুলিশ পাবে।

২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ ও অপরাধজনিত বিশ্বাসভঙ্গের মতো বিষয়গুলো দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধের তালিকায় ছিল। ২০০৯ সালে মুদ্রা পাচারের অভিযোগও দুদকের তফসিলে যুক্ত হয়। আর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এক সংশোধনীতে ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৬৯ ও ৪৭১ ধারার অপরাধ তদন্তের দায়িত্বও দুদকের ওপর চলে যায়। এই ধারাগুলোর মধ্যে প্রতারণার অভিযোগ ৪২০ ধারার অন্তর্ভুক্ত। অন্যগুলো ব্যক্তিগত অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতিসংক্রান্ত মামলার ধারা।

২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব ধারার মামলাগুলোর তদন্ত  করত পুলিশ। বিচার চলত হাকিম আদালতে। কিন্তু ‘ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট’ অনুযায়ী দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধগুলোর বিচারের এখতিয়ার জেলা জজ আদালতের হাতে চলে যায়। আর জজ আদালতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এসব মামলার বিচারকাজে তৈরি হয় দীর্ঘসূত্রিতা।

সংসদে উত্থাপিত বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মতিয়া চৌধুরী বলেন, “সংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০১৪ এর তফসিলভুক্ত ‘দ্য পেনাল কোড-১৮৬০’ এর কতিপয় ধারা পূর্বের ন্যায় পুলিশ কর্তৃক তদন্তযোগ্য এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হওয়ার বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে মামলার নিষ্পত্তির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ এর সুফল লাভ করে বলে আশা করা যায়। এ ছাড়া এ সংশোধনীর মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর অধীনে কেবল ঘুষ ও দুর্নীতিসংক্রান্ত অপরাধগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতাভুক্ত হবে। ফলে এ জাতীয় মামলাগুলোর তদন্ত অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদন করা যাবে।”