রাজধানীর বনানীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সঞ্জয় আচার্য্য মিঠু নামে এক ব্যক্তিকে চাপা দেয়া সেই প্রাইভেটকারের চালক পুলিশের এক কর্মকর্তার ছেলে। তার নাম জাফর সাদিক (২৩)। গত শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। জাফর সাদিক পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী ১১ নম্বর সড়কের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-২১-৬৭৬৭) এক পথচারীকে চাপা দেয়। এতে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি মিঠু নিহত হন। পরে পুলিশ ওই প্রাইভেটকার ও এর চালক জাফর সাদিককে আটক করে। জাফর সাদিক জানায় তার বাবা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি। এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে। বনানী থানা সূত্র জানায়, পথচারীকে চাপা দেয়া টয়োটা এলিয়ন প্রাইভেটকারটিতে ‘পুলিশ’ লেখা স্টিকার ছিল। গাড়ির চালকের আসনে বসা জাফর সাদিকের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল না। ঘটনার দিন জামায়াতের ডাকা হরতাল থাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাফর সাদিক বেপরোয়া গতিতে প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিল। বনানীর ১১ নম্বর সড়কের পাশে গাড়িটি মিঠু নামে এক পথচারীকে চাপা দেয়। এসময় আরও কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় নিহত মিঠুর স্বজনেরা বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমীরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জাফর সাদিককে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে নিহতের স্ত্রী চম্পা আচার্য্য জানান, তারা মিরপুরের কাজীপাড়ার ২৮৩ নম্বর বাড়িতে থাকতেন। তিনি বনানীতে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। অফিস শেষে বাড়িতে ফেরার পথে তিনি এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা এখন অকুল পাথারের মধ্যে পড়েছেন।