সংসদ ভবন : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊ শৈ সিং বলেছেন, পাহাড়ে বিদ্যমান শান্ত পরিস্থিতি বজায় রাখার বিষয়ে বর্তমান সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
তিনি আজ সংসদে জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনী এ বিষয়ে সময়ে সময়ে সরকারের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ করছে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ সার্বিক অবস্থা মনিটরিং করছেন। এছাড়া সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
বীর বাহাদুর বলেন, পার্বত্য জেলাগুলোতে উপজাতি ও বাঙালিদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বীর বাহদুর বলেন, উপজাতি জনগোষ্ঠীর সাথে সাধারণ বাঙালিদের সমতা, সহবস্থান, আন্তরিক পরিবেশ সৃষ্টি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করে বিদ্যমান পারস্পরিক আস্থাকে আরো সুদৃঢ় করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দসহ জেলা পরিষদ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃংখলা বাহিনী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মকা- অব্যাহত রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ী বাঙালি সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের আয়ের পথ সুগম, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকার নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের সদস্য হিসেবে প্রতিটি জেলা পরিষদে ২ জন করে মোট ৬ জন মহিলা সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তারা জেলা পরিষদের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারীদের গরু পালন প্রকল্প (২০১৫-২০) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের অনগ্রসর জনগণের আয়বর্ধন কর্মসূচি হিসেবে উন্নত জাতের বাঁশ ও বেত উৎপাদন (২০১৫-২০) প্রকল্পে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বীর বাহাদুর বলেন, এছাড়া বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় প্রাক্কলিত ৩৬ কোটি ৮০ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে মিশ্র ফল চাষ প্রকল্পে নারীদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।