রবিবার রাতে পাবনার ফৈলজনা গ্রামের রঞ্জিত রোজারিও’র উপর হামলার খবর পাওয়া গেছে। ফৈলজনা কাথলিক চার্চের সদস্য মি. রোজারিও একজন ব্যবসায়ী। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে পাবনা জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
জানা গেছে, জৈলজনার গ্রামের প্রবাসী এক ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে নেংড়ী গ্রামের এক ব্যক্তির অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে রনজিত ও আরো কয়েকজন যুবক। বিষয়টি নিয়ে বিচার শালিসও হয়। এতে বাদশা মিয়ার সাথে রজনিতের বিরোধ হয়। রনজিতের স্ত্রী পল্লবী পিরিছ বলেন, “আমার স্বামীর উপর বাদশার আক্রশ ছিল, তাই সে তার দলবল নিয়ে হামলা করেছে”। তিনি জানান, হামলাকারীরা রনজিতের উপর প্রথমে গুলি করে। কিন্তু ভাগ্য ক্রমে সেটি লাগেনি। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রনজিতকে কোপায়।
স্থানীয় পুলিশ বলছে, তারা এখনো লিখিত অভিযোগ পাননি। পেলেই তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হবে।
স্থানীয় গির্জার ফাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফৈলজনা গীর্জার অধিনে ১৫ শর বেশি কাথলিক খ্রিস্টভক্ত রয়েছে।
সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বৃদ্ধিতে আতঙ্কে দেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এর আগে গত বছর পাবনার ঈশ্বরদীতে এক পাষ্টরকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।