ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:৩১:০৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিতে ১৫ মে থেকে অভিযান

| ২৬ চৈত্র ১৪২৩ | Sunday, April 9, 2017

ঢাকা: বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আগামী ১৫ মে থেকে সারাদেশে বিশেষ অভিযান শুরু হচ্ছে।

রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য,পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মো: মাহমুদুল রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টোক হোল্ডারগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারাদন্ড, অর্থদন্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে এবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য এবার বিশেষ অভিযানে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড এ দুটি দন্ডের ওপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন -২০১০” এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টোক হোল্ডারদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাট চাষীরা পাটের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে ।
সভায় আরো জানানো হয়,২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য দেশজুড়ে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং এ অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,আবারো ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে প্লাষ্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ এ সব পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং এর জন্য আবারো ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে।
উল্লেখ্য,আইন অনুযায়ী ৬টি পণ্য অর্থাৎ ধান,চাল,গম,ভূট্টা,সার ও চিনি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।পরবর্তীতে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কুড়াসহ মোট ১৭টি পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে।