ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির নিহত ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিন। পুরোনো ছবি
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিন হত্যার অভিযোগে বিচারিক আদালতে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর নাজমুলসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ সোমবার এ-সংক্রান্ত এক আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন একটি আপিল বেঞ্চ মামলা চলবে বলে রায় দেন।
প্রায় ১২ বছর আগে কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে পলিনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। মামলার অন্য চার আসামি হলেন ক্যাডেট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন, নন-কমিশন্ড অফিসার মো. নওশেরুজ্জামান, হোস্টেলের আয়া হেনা বেগম ও মেজর মনির আহমেদ চৌধুরী।
নিহত পলিনের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন। আসামিপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত রুল খারিজ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতে মামলা চলবে বলে রায় দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করে আসামিপক্ষ। শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ আসামিদের আপিল খারিজ করে দেন।
গত বছরের ১ জুন আসামিপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পলিন হত্যা মামলার বিচার ছয় মাস স্থগিত রেখে রুল জারি করেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এরপর ২১ মার্চ রুলের পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করেন।
২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন কলেজের অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম।
একই বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারী ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে কারো নাম উল্লেখ না করে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত হত্যার ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলামিন ২০১৩ সালের ২২ মে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জজ আদালত মেজর নাজমুল হকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
পাঁচ আসামির মধ্যে মেজর নাজমুলসহ চারজন জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া মামলার অন্য আসামি মেজর মনির এখনো পলাতক আছেন।