ঢাকা : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রতিবেশ ও পরিবেশগত ভারসাম্যের কোনো প্রকার ক্ষতি না করে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে পর্যটনখাতের উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি কথা বলেন। আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালিত হবে।
তিনি বলেন, পর্যটন মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। মানুষ বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণের মাধ্যমে একে অপরের সান্নিধ্যে এসে ভিন্ন ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, সভ্যতা, ঐতিহ্য এবং প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারে। পর্যটনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অফুরন্ত সম্ভাবনাময় দেশ। বিশ্বের যে কোনো দেশের পর্যটককে আকৃষ্ট করার মতো সকল উপাদান এদেশে রয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ২০১৭ সালকে উন্নয়নের জন্য টেকসই পর্যটন আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসাবে পালন করছে। এ প্রেক্ষাপটে এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘উন্নয়নের জন্য টেকসই পর্যটন একটি অন্যতম হাতিয়ার’ যথার্থ হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্যে টেকসই পর্যটন উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, যা পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে সকল শ্রেণির মানুষের দায়িত্বশীল অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, ‘টেকসই পর্যটন উন্নয়নে পর্যটক, স্থানীয় জনগণ ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট অংশীজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পর্যটন উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় প্রকৃতি, পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি পর্যটকগণ সহানুভূতিশীল ও শ্রদ্ধাশীল হবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পর্যটনশিল্পে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্তকরণ এবং তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে।