মিঠুন চৌধুরী ও আশিক ঘোষ।ভুক্তভোগী পরিবারের দাবিই সত্যি হলো? নিখোঁজের আড়াই সপ্তাহ পর বাংলাদেশ জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি মিঠুন চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় নেতা আশিক ঘোষকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে ৫৪ ধারার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিঠুনকে গত মঙ্গলবার ও আশিককে গতকাল বুধবার আদালতে পাঠায় ডিবি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মিঠুন ও আশিকের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিল, ২৭ অক্টোবর পুলিশের একটি দল তাঁদের সূত্রাপুর থানা এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
মিঠুন ও আশিককে পাওয়া গেলেও গত আড়াই মাসে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ছাত্র, রাজনৈতিক নেতাসহ নিখোঁজ অন্য আটজনকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ডিবি সূত্রগুলো গতকাল জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর কদমতলীর থানাধীন পূর্ব দোলাইরপাড় এলাকা থেকে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ নয়জনকে প্রচুর বিস্ফোরক, জিহাদি বই, ধারালো অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সেই ঘটনায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ২৩ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন বিএনপির কৃষিবিষয়ক সহসম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ ফারুক। চলতি মাসে আবদুল্লাহ ফারুক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে ফারুক উল্লেখ করেন মিঠুন ও আশিক সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে যুক্ত। ওই জবানবন্দির পর ৭ নভেম্বর কদমতলী থানায় একটি জিডি করা হয়।
ডিবির সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান বলেন, সোমবার পল্টন থেকে মিঠুনকে এবং মঙ্গলবার সেগুনবাগিচা থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। একই অপরাধে যুক্ত সন্দেহে অজিত দাস নামে আরেকজনকে সোমবার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবারই মিঠুন ও অজিতকে আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি। আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর আশিককে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মিঠুন চৌধুরীর স্ত্রী সুমনা চৌধুরীর দাবি, তাঁর স্বামী মিঠুন চৌধুরী সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করায় তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা ধারণা করি আবদুল্লাহ ফারুককে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা (মিঠুন ও আশিক) আত্মগোপন করেছিলেন। পুলিশ বিধিমোতাবেক কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টা পর আদালতে হাজির করে।