নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকার দুটি আন্তর্জাতিক বৈঠক বাতিল করেছে দুটি সংস্থা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মানিলন্ডারিং গ্রুপ ও টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার তাদের বৈঠক ঢাকার পরিবর্তে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থা দুটির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার ১০ দিন পর সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থা দুটি। ১ জুলাইয়ের ওই হামলায় ১৭ জন বিদেশীসহ ২০ জন নিহত হয়।
মানিলন্ডারিং গ্রুপের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল আগামী ২৪-২৮ জুলাই। সেখানের ৩৫০ জনের বেশি বিদেশী প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে অবৈধ অর্থ স্থানান্তর ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়নের প্রচেষ্টা বন্ধে একত্রে আলোচনা করার কথা ছিল। আলোচনা হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির বিষয়েও।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মানিলন্ডারিং গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঢাকার পরিবর্তে তাদের বৈঠকটি আগামী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে। নির্দিষ্ট স্থানের নাম পরে জানানো হবে। এর বেশি কিছু তারা উল্লেখ করেনি।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, গুলশান হামলার কারণেই বৈঠকের ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে।
এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে। তাদের নাগরিকদের চলা ফেরায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে।
টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের বৈঠকটি হওয়ার কথা ছিল ২৯ সেপ্টেম্বর। এই বৈঠকে ৪৫০ জনের বেশি বিদেশী প্রতিনিধির যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার পরিবর্তে এখন এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়।
বৈঠকটি ঢাকায় ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে কলম্বো অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। এদিন উদ্বোধন হলেও মূল বৈঠক হবে ৩-৫ ক্টোবর পর্যন্ত।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঢাকার বৈঠকের জন্য যারা নিবন্ধন করেছিলেন তারা সবাই কলম্বো বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। তবে ঢাকা থেকে ভেন্যু পরিবর্তনের জন্য আমন্ত্রিত প্রতিনিধিসহ সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার বৈঠক অন্যতম আয়োজক মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বিদেশীদের প্রতি আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গি সহিংসতার ক্রমবর্ধমান হুমকি অর্থনীতিতে আঘাত হানবে; বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ২৬ বিলিয়ন তৈরি পোশাক খাতে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা রাখা উচিত। সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’