ঢাকা, এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৭:০৮:২৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসার নিশ্চয়তা না পেয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের সাংস্কৃতিক সম্পৃক্ততার আহ্বান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর সংসদে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে স্বতন্ত্র সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে পিপিপি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন স্বচ্ছ নির্বাচনে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

নিরাপত্তার কারণে যেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই

| ৯ শ্রাবণ ১৪২২ | Friday, July 24, 2015

প্রধানমন্ত্রীসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দায়িত্ব পালন করতে হবে, এটা যেমন ঠিক; আবার সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, আমরা রাজনীতি করি, আমাদের মূলশক্তি হচ্ছে জনগণ। যদি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই, তবে এ বেঁচে থাকা নিরর্থক। আমরা জনগণের জন্যই রাজনীতি করছি। আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে; কিন্তু কোনোভাবেই যেন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শাপলা সম্মেলন কক্ষে এসএসএফের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দরবারে বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কঠোর পরিশ্রম করায় এসএসএফ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন অনেক সময়ই তাঁদের কর্মঘণ্টা ঠিক থাকে না। অনেক সময় ক্লান্তি চলে আসে। আমি জানি আপনাদের কষ্ট হয়। কিন্তু আমি একটি কর্মঘণ্টাও নষ্ট করতে চাই না। প্রতিটি মিনিট দেশের মানুষের কাজে লাগাতে চাই। দেশের মানুষ যখন এ কষ্টের ফল পায় সেটুকুই আমাদের তৃপ্তি। কষ্টের ফলে দেশের যখন উন্নয়ন হয় তখন নিশ্চয় সবার ভালো লাগে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার রাজনীতি নিজের জন্য না। এ দেশের মানুষ, এখনো যারা দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত, এখনো যারা সুশিক্ষা পায়নি, এখনো দিনান্তে যাদের পান্তা ফুরানোর অবস্থা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমার দায়িত্ব। আর সে লক্ষ্য নিয়েই রাজনীতি। আমার নিজস্ব কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’

এসএসএফের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই বাহিনীর সদস্যরা ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছে। এই বাহিনীর আনুগত্য, পেশাদারি ও দক্ষতা প্রশংসনীয়। আমি আনন্দিত হই যখন বিদেশিরাও এসএসএফের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ধরন ও কৌশল পাল্টেছে। প্রযুক্তির বিকাশের কারণে সন্ত্রাসীরা বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অপতৎপরতা চালাতে পারে। বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ নতুন মাত্রা পেয়েছে। তাই আমরা এসএসএফের দক্ষতা বৃদ্ধির বিভিন্নমুখী উদ্যোগ নিয়েছি। এ বাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়েছি, যাতে তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এসএসএফের সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং দেশে তাঁদের আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহসহ সরকারের নেওয়া নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মোহাম্মদ আমান হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করেন। তাঁর জনগণের কাছাকাছি অবস্থান ও নিরাপত্তাবলয় তৈরি এসএসএফের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ নিয়েই নিষ্ঠার সঙ্গে এসএসএফের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দায়িত্ব পালনে এসএসএফ সদস্যরা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়াতে সদা প্রস্তুত রয়েছে।’ এ সময় এসএসএফের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ দেন শেখ মোহাম্মদ আমান হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, মুখ্য সচিব, আইজিপি, পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শিল্পী সানজিদা আক্তারের আঁকা একটি চিত্রকর্ম এসএসএফের মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে গতকাল এসএসএফের এক প্রেসনোটে বলা হয়, ‘অনিবার্য কারণে গত ১৫ জুন এসএসএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়নি।’

প্রেসনোটে জানানো হয়, ‘রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীতে এ বাহিনীকে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এ বাহিনীর সদস্যগণ আনুগত্য, নিষ্ঠা এবং অকৃত্রিম বিশ্বস্ততার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনী থেকে প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে এ এলিট ফোর্স এসএসএফ গঠিত।’