জঙ্গিবাদ দমনের জন্য প্রয়োজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন মানিক চন্দ্র সরকার
গত ১ ফেব্রুয়ারী নাঃ গঞ্জের বন্দরের একরামপুরে হিন্দু ছাত্র মহাজোটের উদ্যোগে শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রথম নাঃ গঞ্জের বন্দর হিন্দু ছাত্র মহাজোট উপজেলা শাখার উদ্যোগে শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে । উক্ত পূজা উপলক্ষে ২দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে গতকাল ১ ফেব্রুয়ারী সকালে পুজা,পাঠ,পুষ্পাঞ্জলী ও আজ সন্ধ্যা ৭.৩০মিঃ এক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিকসহ নানা আয়োজনে চলছে অনুষ্ঠান ।
উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় দর্শনার্থী এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের আগমনে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নাঃগঞ্জ জেলা হিন্দু মহাজোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক সুভাষ সাহা ,সাঃ সম্পাদক এড.রঞ্জীত চন্দ্র দে,বন্দর উপজেলা শাখার সভাপতি শংকর দাস, হিন্দু যুব মহাজোট বন্দর উপজেলা সভাপতি গোপাল চন্দ্র মন্ডল,হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সহ-সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার দেবনাথ,নাঃ গঞ্জ মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগনেতা মানিক শেখ ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু যুব মহাজোট বন্দর উপজেলা সম্পাদক রঞ্জীত দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক মোহন দাস, প্রচার সম্পাদক রতন দাস, হিন্দু ছাত্র মহাজোট বন্দর উপজেলা সভাপতি বিনয় কুমার মন্ডল , সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাসসহ হিন্দু,ছাত্র,ও যুব মহাজোটের জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। বক্তৃতাকালে প্রধান অতিথি মানিক চন্দ্র সরকার বলেন দেবী সরস্বতী সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী।‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে/ বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহ তুতে’ আমরা এই মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য দেবী সরস্বতীর অর্চনা করি।সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাই বিদ্যা অর্জনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, এবছর পাঠ্যপুস্তকে চরমভাবে সাম্প্রদায়িকতা প্রকাশ পেয়েছে , যা সর্বজন জ্ঞাত ধীরে, ধীরে হাজার বছরের আবহমান অসাম্প্রদায়িক আর সৌহার্দ্যরে সংস্কৃতিকে পাঠ্যপুস্তক থেকে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
সৃষ্টি করা হচ্ছে জাতিগত, ধর্মীয় আর নারী-পুরুষের ভেদ-বৈষম্য। এ চক্রান্ত পরিকল্পিত, কেননা বাঙালির সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের পূর্বশর্তই হলো গুণগত ও সঠিক শিক্ষা। শিক্ষা হলো সাংস্কৃতিক পুঁজি। কিন্তু শিশুর মননে যে সংস্কৃতির আলো পৌঁছানো প্রয়োজন, তাতে সর্তক থাকেনি সরকার। একটি গোষ্ঠী সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টে সদা সচেষ্ট তাদের দমনে যাযা করা দরকার সরকারকে তাতা করতে হবে
প্রত্যেক ধর্মের আলাদা আলাদা ধর্মশিক্ষা বই থাকা সত্যও সমস্ত বইয়ে বিশেষ একটি ধর্মের শিক্ষা সংযুক্ত করা উচিত হয়নি , যদি শিক্ষাক্ষেত্রে এমন বাড়াবাড়ি করা হয় তাহলে অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীরা যাবে কোথায়। কোমলমতি শিশুদের নৈতিক বোধের স্ফূরণ না ঘটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বিভেদ আর সাম্প্রদায়িকতা। জঙ্গিবাদের যে ভয়াল রূপ আমরা দেখছি, তা কেবল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে নির্মহৃল করা সম্ভব নয়। জঙ্গিবাদ দমনের জন্য প্রয়োজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন।