নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার রগুনাথপুরে সংখ্যালঘু স্কুলছাত্রী ঝর্না অধিকারীকে অপহরণ করতে না পেরে বাবা মনিন্দ্র অধিকারীকে গলা কেটে হত্যা করে তুহিন ও তার সহযোগীরা।রাতে খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইটি মাইক্রোবাসসহ আটক সাতজন, পরে আটক একজন ও পলাতক দুইজনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে আটক ব্যক্তিরা হলেন- নজরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনির, জাহিদ, এবার্ট সুশান্ত, জুয়েল, বাবু, হৃদয় ও তানভীর।
পরের দিন নারায়ণগঞ্জের সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক প্রতিবাদী সাংবাদিক বিজয় দাস কাব্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, মনিন্দ্র অধিকারী সপরিবারে ফতুল্লার রগুনাথপুর এলাকায় এনামুল হক এনামের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। তিনি বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে দেখাশোনাও করতেন।তার মেঝ মেয়ে ঝর্না স্থানীয় হাজী পান্দে আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
এক বছর আগে রগুনাথপুর এলাকায় কালীপূজার অনুষ্ঠানে ঢাকার শ্যামপুর এলাকার তুহিন সাউন্ড সিস্টেমের তুহিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরই মধ্যে তার বিয়ে ঠিক করার চলতে থাকে।
ফতুল্লা মডেল থানায় ওই স্কুলছাত্রী জানায়, তুহিন তাকে প্রস্তাব দিলেও সেটা প্রত্যাখান করে সে। কিন্তু প্রায়শই তুহিন তাকে উত্ত্যক্ত করতো। সে কারণে তার সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গিয়েছিল সে।
১৬ই মার্চ বুধবার গভীর রাতে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে তুহিন ও তার বন্ধুরা। তখন বাধা দিতে গেলে তার বাবাকে হত্যা করে তুহিন ও তার সহযোগীরা বলে জানায় ওই স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী প্রজাপতি অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন মামলার মূল আসামী তুহিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।