ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৯:৪৩:৪৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

নরসিংদীতে কলেজছাত্রীকে হত্যা, বাবা-ভাই গ্রেপ্তার

| ১৭ কার্তিক ১৪২৩ | Tuesday, November 1, 2016

 

নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজের ছাত্রী মনিরা বেগম। ছবি : সংগৃহীত

নরসিংদীতে কলেজছাত্রী মনিরা বেগম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁর বাবা ও ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।

গতকাল সোমবার জেলার শিবপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া থেকে মনিরার বাবা খোরশেদ আলম ও ভাই সোহেল মিয়াকে আটক করে শিবপুর থানার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা করে।

গত রোববার রাতে পুলিশ শিবপুরের শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মনিরার (১৮) অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। তিনি শেরপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের চতুর্থ মেয়ে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পাস নোবেল মিয়ার সঙ্গে মনিরার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। নোবেল মিয়া একটি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। দেড় বছর ধরে তাঁরা গোপনে প্রেম করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলাকায় তা প্রকাশ পায়। কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু তাঁরা বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারেননি। এক সপ্তাহ আগে মনিরার বাবা খোরশেদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কোনোভাবেই এই সম্পর্ক মেনে নেবেন না। মনিরাও বেঁকে বসেন। একপর্যায়ে মনিরার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালান বাবা। একই ইস্যুতে সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর বাবার সঙ্গে মেয়ে মনিরার বাকবিতণ্ডা হয়। ওই দিনই মনিরাকে প্রচণ্ড মারধর করেন খোরশেদ। এতে মনিরার মৃত্যু হয়। পরে গোপনে ছেলেকে নিয়ে বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে মনিরার মৃতদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। বাড়ির অন্য সদস্যরা কান্নাকাটি করতে চাইলেও খোরশেদের চোখ রাঙানিতে কেউ সাহস করেনি কাঁদতে। থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেননি তাঁরা। প্রতিবেশীরা মনিরাকে ঘরে দেখতে না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা অসংলগ্ন কথা বলতেন।

সাতদিন পর ধীরে ধীরে শেরপুর স্কুলের পাশে লাশ পচা দুর্গন্ধ বের হলে লোকজন পুলিশে খবর দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে পরিবারের সব সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ আরো বাড়ে। পরে পুলিশ এসে রোববার রাত ৯টার দিকে মাটি খুঁড়ে মনিরার লাশ উদ্ধার করে।

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে আমরা আরো অধিকতর তদন্তের ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। এই ঘটনায় শিবপুরের জাঙ্গালিয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গতকাল নিহতের বাবা খোরশেদ আলম ও ভাই সোহেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আজ পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।’