উপাসনালয়ের সম্পত্তি অধিগ্রহণ আইন মন্ত্রিসভায় পাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এই আইন বাতিলের দাবি জানায় সংগঠনটি। একই সঙ্গে গাজীপুরে জোটের নেতা রঞ্জন গোস্বামীর প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদ জানানো হয়।
হিন্দু জোট নেতারা বলেন, উপাসনালয় অধিগ্রহণের আইন মন্ত্রিসভা পাস করেছে। এতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আইন পাসের আগেই রমনা কালীমন্দিরের জায়গা দখল করে সরকার স্বাধীনতা স্তম্ভ্ভ তৈরি করেছে। সারাদেশে শত শত মন্দিরের জায়গা দখল হয়েছে। এবার আইনের দোহাই দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ধর্মীয় সম্পত্তি অন্যায়-অবৈধভাবে দখল করে নেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করছে হিন্দু সম্প্র্রদায়। মানবন্ধনে অভিযোগ করা হয়, প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও হিন্দুদের বাড়ি-জমি দখল, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে দেশত্যাগে বাধ্য করা, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, মঠ-মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর চলছে। সরকার অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীন বন্ধুু রায়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সামনে এক মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচী পালন করে।মানব বন্ধন শেষে হিন্দু মহাজোট এর নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায় এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ,উপদেষ্টা ঝুমুর গাঙ্গুলি, সিনিয়র সহ সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার, ডঃ সোনালী দাস,বিজয় ভট্টাচার্য, মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব উত্তম কুমার দাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রিপন দে, যুব বিষয়ক সম্পাদক সমীরণ বড়াল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুমন সরকার, মানবাধিকার সম্পাদক সমীর সাহা ,গাজীপুর জেলা হিন্দু মহাজোট এর সভাপতি শ্রী রঞ্জন গোস্বামী ,হিন্দু যুব মহাজোট এর সাধারণ সম্পাদক মিল্টন বসু, হিন্দু ছাত্র মহাজোট এর সভাপতি নিহার চন্দ্র প্রামাণিক, সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত হালদার, সাজন বল ,হরেকৃষ্ণ বাড়ুরী সহ হিন্দু নেতারা ।
মন্ত্রিপরিষদে ধর্মীয় সম্পত্তি অধিগ্রহণের বিধান রেখে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম আইন, ২০১৭ পাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে প্রতিবাদ জানান সংগঠনের নেতারা। মানববন্ধনে নেতারা বলেন, ‘সম্প্রতি সরকার ধর্মীয় উপাসনালয় অধিগ্রহণের আইন মন্ত্রিসভায় পাশ করেছে। এতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আইন পাশের আগেই রমনা কালিমন্দিরের জায়গা দখল করে সরকার স্বাধীনতা স্তম্ভ তৈরি করেছে। সারা দেশে এরকম শত শত মন্দিরের জায়গা দখল হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায় শত চেষ্টা করেও সে সম্পত্তি ফেরত পায় না।’ এরপর নতুন আইন তৈরি করে নানা অজুহাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার কোটি টাকার ধর্মীয় সম্পত্তি অন্যায়-অবৈধভাবে দখল করে নেওয়া হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা। সরকার ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তক ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আলোকে করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অভিযোগ করে তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তারা অভিযোগ করেন, প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও হিন্দু বাড়িঘর জমিদখল, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে দেশত্যাগে বাধ্য করা, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, ধর্মান্তরকরণ, মঠ-মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর ও কিশোরী অপহরণ চলছে। সরকার অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে ও শাস্তি বিধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু সরকার অপরাধীর শাস্তি বিধান করে নাই।
গাজীপুর জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি শ্রী রঞ্জন গোস্বামীর প্রাণনাশের হুমকিদাতা আ. সামাদ গংকে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
বক্তারা ধর্মীয় সম্পত্তি অধিগ্রহণের বিল প্রত্যাহার এবং পাঠ্যপুস্তক অসাম্প্রদায়িক করার দাবি জানান।
হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়ের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ঝুমুর গাঙ্গুলী, সিনিয়র সহসভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার, ড. সোনালী দাস প্রমুখ। - See more at: http://www.hazarikapratidin.com/details.php?id=27392#sthash.xmlZtzBe.dpuf