ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:৩৯:১৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ধবলধোলাই-ই হবে ক্যারিবীয় সফরের টোটকা?

| ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৫ | Saturday, June 9, 2018

 

র‍্যাংকিংয়ে পেছনে থেকেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। যদিও ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশকে দেখে একবারও মনে হয়নি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটার চেয়ে খেলাটায় এগিয়ে তাঁরা। সোজা বাংলায় বলতে গেলে মাঠে ছড়ি ঘুরিয়েই সিরিজটা জিতে নিয়েছে আফগানরা।

যেহেতু র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে আফগানরা ‘ফেবারিট’ না হয় তারা থাকলই, সে মেনে নেয়া যায়। কিন্তু তাই বলে এতটা অসহায়ভাবে হারতে হবে সাকিবদের! ভারতের মাঠে যাবার আগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বারবার ‘টি-টোয়েন্টিতে আসলে কোন ফেবারিট নেই’- বক্তব্যটা আর তাই ধোপে টেকেনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য সিরিজ শুরু আগেই বলছিলেন এগিয়ে থাকবে আফগানিস্তান।

তিন ম্যাচের তিনটিতেই যেন রশিদ খান বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন তামিম ইকবালদের। আফগান দলপতি আজগর স্ট্যানিকজাইও যেন পেয়েই বসেছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। মুজিব-উর-রহমান ও মোহাম্মদ নবীকে নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের।

রান পেতে যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বাংলাদেশের সেসময়ই ভাণ্ডারের সবচেয়ে বড় অস্ত্রটাকে এনেছেন স্ট্যানিকজাই। আর ১৯ বছর বয়সী তরুণ একাই ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ব্যাটিংয়ের নিদারুণ দৈন্যতা যেন একদম ঠিকরে বেরিয়েছে দেরাদুনের বাংলাদেশি ইনিংস তিনটিতে।

অপরিকল্পিত ব্যাটিং আর ব্যাটসম্যানদের ‘ধারাবাহিক’ ব্যর্থতাই বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে নব্য স্ট্যাটাস পাওয়া দলটার বিপক্ষে চুনকামের রাস্তায়। সঙ্গে রয়েছে ডেথ ওভারের খরুচে বোলিং। পুরো ম্যাচটা দারুণ নিয়ন্ত্রণে রেখে শেষদিকে যেয়ে উদার হাতে বোলারদের রান বিলানোর ব্যাপারটা প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ ভুগিয়েছে টিম বাংলাদেশকে।

সাকিবকে মাথায় রাখতে হচ্ছে আরও একটা ব্যাপার। ম্যাচে যেন মাঠে নামার আগেই হেরে যাচ্ছে তাঁর দল! গতকাল বৃহস্পতিবার লিটন আর সৌম্য যেভাবে রানআউটে কাটা পড়লেন তাতে যেন পুরো দলের মানসিক অবস্থাটাই ফুটে উঠলো আরেকবার। ম্যাচ শেষে সাকিব নিজেও জানিয়েছেন দলের এমন নড়বড়ে মনোবল ভাবাচ্ছে তাঁকেও।

আফগানদের বিপক্ষে এমন হোয়াইটওয়াশ হবার পরে এবার বাংলাদেশ দল দাঁড়িয়ে আরেকটি সফরের দ্বারপ্রান্তে। চলতি মাসের শেষেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে রওনা করবে টাইগাররা। জুলাই মাসের শুরুতেই মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

প্রায় চার বাছর পর উইন্ডিজ সফরের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় টোটকা হতে পারে এই ‘ধবলধোলাইটাই’। ব্যাটিংয়ের সঙ্গে মনোবলের জায়গাটায় বাড়াতে হবে শক্তি। বোলিংয়ে বাড়াতে হবে আরও ধার।

অবশ্য পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের অধীনে পেসারদের থাকছে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার দারুণ সুযোগ। ক্যারিবীয় এই সাবেক পেস কিংবদন্তিই যে নিজ দলের বিপক্ষ শিবিরে থাকছেন ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ হয়েই!  আরও আশার কথা, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে না থাকলেও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও যে পঞ্চাশ ওভারের সিরিজ দৌড়াবেন বল হাতে।

জেসন হোল্ডারদের দেশের বিমান ধরার আগে হোয়াইটওয়াশের আক্ষেপ থাকছেই বাংলাদেশের সঙ্গে। তবে সে বিমানে স্বস্তি হয়ে সাকিবদের সঙ্গে উড়ছেন তাদের সদ্য নিযুক্ত ‘গুরু’ স্টিভ রোডস। এক, দুই নয় পুরো আটটি মাস পরে প্রধান কোচের দেখা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার আর অভিভাবকহীন হয়ে নয়, বাংলাদেশ দল যাচ্ছে কোচ নিয়েই।

ইতিহাস বলে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই কেবল দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ দল। সে উদাহরণ ক্রিকেটাররা রেখেছেন ২০১৪ সালে বিবর্ণ এক বছর কাটিয়ে পরের বছরটাকেই নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে আলোকিত বছর বানিয়ে। চলতি বছরের শুরুতেও অন্ধকারচ্ছন্ন ছিল দলের সাফল্যের আকাশ। নিদাহাস ট্রফিতেই কিন্তু আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সাকিব-তামিমরা। ক্যারিবীয়দের হোঁচট দিয়ে আরেকবার হোক না সে চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া প্রত্যাবর্তন!