পাবনার বেড়ায় চায়না (৮) নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার শিকার চায়না উপজেলার চরপেচাকোলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ও দক্ষিণ চর পেচাকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় মনির (১৯) নামের যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মনির উপজেলার চর পেচাকোলা গ্রামের টিয়া আলমের ছেলে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নদীতে গোসল করতে যায় চায়না। অনেক সময পেরিয়ে গেলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন ঘাটের অদূরে মেয়েটির লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর ধারণা মেয়েটিকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ চরপেচাকোলা গ্রামের টিয়া আলমের ছেলে মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ আজ সোমবার সকালে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠিয়েছে। বেড়া থানার ওসি ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, “মনির নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই সবকিছু জানা যাবে।”