রাজশাহী: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দেশের প্রোটিন ঘাটতি দূর করতে টেকসই দুগ্ধ খামারের বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে দুগ্ধ খামারে জনপ্রিয়তার কারণে বেকারত্ব নিরসনেও এটি ভূমিকা রাখছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী প্রন্তিক পর্যায়ে দুগ্ধ খাতকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স কমপ্লেক্সে ডেইরী ফার্ম সম্পর্কিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স এর আয়োজনে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় ‘অ্যানোথারাস প্রবলেম ইন ডেইরী কাউস এন্ড ডেভেলপমেন্ট অফ দা এপ্রোপিয়েট ট্রিটমেন্ট প্রটোকল’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এস এম কামরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবাহান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ লাইফস্টোক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. হেমায়েতুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুগ্ধ খামারের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠি বিশেষত নারীরা উপার্জন ক্ষম হচ্ছে এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে পারছে। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংক এই খাতে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।
এ সময় বক্তারা দেশের দুগ্ধ খামারীদের যাতে অসম প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে না হয়, এজন্য আমদানী করা পাউডার দুধের কর কাঠামো পুনর্বিন্যাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।