সিরাজগঞ্জ : আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতেই জঙ্গি হামলা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। জঙ্গি হামলা করে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু তাদের এ পরিকল্পনা সফল হবে না।
নাসিম আজ শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পাটির (জেপি) সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না ও ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমদ, জেলা জাসদের সভাপতি আব্দুল হাই তালুকদার, সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সুর্য্য প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ এদেশের উন্নয়নকে থামাতে পারবে না। শুধু দেশের মানুষই নয় বিশ্বের অনেক বন্ধু দেশও এদেশকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। আমরা সেই সব দেশের সহায়তা নেব। কিন্তু কোন ভাবেই দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কোন পদক্ষেপ এই সরকার নেবে না।
তিনি বলেন, কিছু সন্ত্রাসী ও দেশ বিরোধী বাদে দেশের সকল মানুষ এখন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যে কারনে বাংলাদেশের তেমন কোন ক্ষতি তারা করতে পারবে না। এই সরকারের জঙ্গীবাদ দমনে পুরো সামর্থ রয়েছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গুলশানের ঘটনায় মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে যৌথ বাহিনী নিয়ন্ত্রন নিতে সক্ষম হয়েছে। যেখানে ভারতে মুম্বাই শহরে এক সাথে ৩টি স্থানের জঙ্গী হামলা সে দেশের সেনাবাহিনীর ৭২ ঘন্টা অপারেশন চালাতে হয়েছিলো। এত বড় একটি রাষ্ট্রের সুশৃংখল সেনাবাহিনীর যদি এ সময় লাগে, সেখানে বাংলাদেশের যৌথ বাহিনীর এই সময় তেমন বেশি নয়।
তিনি বলেন, অনেকে প্রশ্ন করেন, সাথে সাথে কেন অপারেশন করা হলো না? কিন্তু বর্তমান সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনী আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বলেই ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সাথে সাথে অপারেশন করা হলে এই ১৩জনকেউ বাঁচানো সম্ভব হতো না।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এক সময় এদেশে অস্ত্রের চোরাচালান করা হতো। যে কারনে শুধু বাংলাদেশই নয়, ভারতও এ কারনে সমস্যার মধ্যে ছিলো। কিন্তুশেখ হাসিনার পদক্ষেপের কারনে বাংলাদেশই শুধু নিরাপদে নয়, ভারতও নিরাপদ হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারতের অরক্ষিত স্থানগুলোকে ঝুকি মুক্ত করেছেন। যে কারনে ভারত উপকৃত হয়েছে বলেই আজ তারা বলছে, যে কোন সমস্যার সাথে ভারত বাংলাদেশের সাথে রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ছিলো, আছে ও থাকাবে।
আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু বিভিন্ন কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। জঙ্গীরা যেভাবে মানুষ হত্যা করে সমাজ ও দেশে অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, তা ধর্মের আওতায় পরে না। এদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে।