ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৩:২১:৫৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

| ২৮ আশ্বিন ১৪৩০ | Friday, October 13, 2023

 

এবারের দুর্গাপূজায় নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে অশান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের কারণেও শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এর আগে গুজব ছড়িয়ে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা এখনো তাদের তাড়া করছে। ফলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও কঠোর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকেও সবগুলো জেলাতে পাঠানো হয়েছে নির্দেশনা। এছাড়া মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকেও নিরাপত্তার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) এনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, পূজায় যাতে কোনো সহিংসতা বা হামলার ঘটনা না ঘটে সেজন্য তাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। আর গুজব ছড়িয়ে যাতে কেউ কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্যও তারা সতর্ক আছেন। বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অতীত উদাহরণ আছে। এবার পূজার দুই মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন তাই আশঙ্কাও বেশি। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো পূজার সময় কর্মসূচি রাখেনি।

 

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুজনই সামনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তারাই যখন আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাহলে তো আমরা আর আশঙ্কামুক্ত থাকতে পারি না।

তার মতে, ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে আজকের মতো পরিস্থিতি ছিল না। সবাই একসাথে নির্বাচন করেছে। তারপরও আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। ঐ সময়ের পরেও আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। ২০০৯ সালের আগে আমাদের ওপর হামলা ছিল স্টেট স্পন্সরড। এরপরে যে হামলাগুলো হয়েছে তা পলিটিক্যাল পার্টি স্পন্সরড। এবার পরিস্থিতি তো খারাপ। রাজনৈতিক দলগুলো মুখোমুখি অবস্থানে আছে। তাই শঙ্কাও বেশি। তিনি মনে করেন, সরকার চাইলে হামলা বন্ধ হয়, না চাইলে বন্ধ হয় না। ২০২১ সালে পূজার সময় হামলা হয়েছে। কিন্তু তার পরের বছর ২০২২ সালে উত্সবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হয়েছে। সুতরাং সরকার চাইলে পারে। এবছর আমাদের শঙ্কা আছে। তবে সরকার চাইলে শঙ্কা দূর করতে পারে।এবছর ঢাকাসহ সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে ঢাকায় পূজা হবে ২৪৩টি মণ্ডপে। পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিসহ সরকারে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে পূজার সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। তারা নিজেরাও এবার মণ্ডপের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে পূজা নিয়ে বৈঠক করেছি। সবাই আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করছি, এবার শান্তিপূর্ণভাবেই শারদীয় দুর্গোত্সব পালিত হবে।

ঢাকার বাইরে এখন পর্যন্ত ছয়-সাতটি মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির সময় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে বলে জানিয়েছেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক। তিনি বলেন, এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত আছে, যারা সব সময় ওত পেতে থাকে। তারা সুযোগ পেলেই প্রতিমা ভাঙচুর করে।  আগামী ২০ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু হবে। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে পূজা শেষ হবে। পূজা যাতে উত্সবমুখর পরিবেশে হয় তাই এই সময়ে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি।