ঢাকা, মে ৩, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:১৭:২২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

দুর্গাপুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটির দাবীতে চট্টগ্রাম জেলা হিন্দু মহাজোটের সাংবাদিক সন্মেলন

| ১ আশ্বিন ১৪২৩ | Friday, September 16, 2016

১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুর্গাপুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটি, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু ও একটি সংখ্যলঘু মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা শাখা এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক শ্রী রিপম দাশ শেখর, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পন্ডিত শ্রী বিজয় চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক ঋতেন দাশ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব এড. শ্রী সুদীপ্ত বিশ্বাস, শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, ডা. শ্রী নারায়ন দাশ, আর্মি কর্পোরাল(অব.) ডা. বি.কে তালুকদার, শ্রী নিউটন দেওয়ানজী, শ্রী শ্যামল দাশ রানা, দেবব্রত নাথ জুয়েল, শ্রী রিপন দাশ, শ্রী রূপেশ শীল, শ্রী কমল বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ সুবিধার বিধান থাকা সত্বেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সে সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পুজা। সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের দিকে চেয়ে থাকে। পরিবারের সবাই এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মূখ থাকে; অথচ শুধুমাত্র পুজার শেষের দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিন ১ দিন সরকারী ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। সেকারনে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সদাশয় সরকারের কাছে দুর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটি দাবী করছে। একই সংগে যেহেতু গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অজুহাতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চলে আসছে। সেকারনে হিন্দু সম্প্রদায় এখনো আতঙ্কগ্রস্থ। আর একারনেই আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করারও দাবী জানাচ্ছে। বক্তাগণ আরও বলেন প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, জমি জমা দখল চলছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এক মূর্তমান আতঙ্ক হয়ে ফিরে আসে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই শঙ্কিত। সারা দেশে যে হারে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চলছে তাতে হিন্দু সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেও হিন্দু নির্যাতন নিয়ে জাতীয় সংসদে কোন আলোচনা হয় নাই। সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন দূরে থাক, একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেন নাই। বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রতিবাদ ও একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির পরিদর্শনে গেলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় জাতীয় সংসদে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই। যেহেতু সরকারী দল ও বিরোধী দল এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই সেকারনে এদেশের সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য এবং এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা দাবী করেন।
হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায়, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারনে এবং রাজনৈতিক কারনেই হিন্দু সম্প্রদায় বার বার আক্রান্ত হচ্ছে। আর তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হিন্দু সম্প্রদায় দাবী করছে- ১) দুর্গা পুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা করে সংবিধানে বর্ণিত সম অধিকার ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। গত চার বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কারনে অকারনে নির্যাতন নিপিড়নের আতঙ্কগ্রস্থ হিন্দু সম্প্রদায় যাতে নির্ভয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে আসন্ন দুর্গাপুজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। ২) জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা ও নির্যাতন নিরোধ কল্পে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূণঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৩) একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। একই সাথে বর্তমানে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শ্রী শেখর দাশ ৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জে.এম. সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য “হিন্দু সম্মেলন” এ সর্বস্তরের হিন্দু জনসাধারণকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুর্গাপুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটি, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু ও একটি সংখ্যলঘু মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা শাখা এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক শ্রী রিপম দাশ শেখর, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পন্ডিত শ্রী বিজয় চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক ঋতেন দাশ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব এড. শ্রী সুদীপ্ত বিশ্বাস, শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, ডা. শ্রী নারায়ন দাশ, আর্মি কর্পোরাল(অব.) ডা. বি.কে তালুকদার, শ্রী নিউটন দেওয়ানজী, শ্রী শ্যামল দাশ রানা, দেবব্রত নাথ জুয়েল, শ্রী রিপন দাশ, শ্রী রূপেশ শীল, শ্রী কমল বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ সুবিধার বিধান থাকা সত্বেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সে সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পুজা। সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের দিকে চেয়ে থাকে। পরিবারের সবাই এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মূখ থাকে; অথচ শুধুমাত্র পুজার শেষের দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিন ১ দিন সরকারী ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। সেকারনে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সদাশয় সরকারের কাছে দুর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটি দাবী করছে। একই সংগে যেহেতু গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অজুহাতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চলে আসছে। সেকারনে হিন্দু সম্প্রদায় এখনো আতঙ্কগ্রস্থ। আর একারনেই আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করারও দাবী জানাচ্ছে। বক্তাগণ আরও বলেন প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, জমি জমা দখল চলছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এক মূর্তমান আতঙ্ক হয়ে ফিরে আসে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই শঙ্কিত। সারা দেশে যে হারে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চলছে তাতে হিন্দু সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেও হিন্দু নির্যাতন নিয়ে জাতীয় সংসদে কোন আলোচনা হয় নাই। সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন দূরে থাক, একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেন নাই। বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রতিবাদ ও একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির পরিদর্শনে গেলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় জাতীয় সংসদে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই। যেহেতু সরকারী দল ও বিরোধী দল এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই সেকারনে এদেশের সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য এবং এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা দাবী করেন।
হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায়, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারনে এবং রাজনৈতিক কারনেই হিন্দু সম্প্রদায় বার বার আক্রান্ত হচ্ছে। আর তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হিন্দু সম্প্রদায় দাবী করছে- ১) দুর্গা পুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা করে সংবিধানে বর্ণিত সম অধিকার ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। গত চার বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কারনে অকারনে নির্যাতন নিপিড়নের আতঙ্কগ্রস্থ হিন্দু সম্প্রদায় যাতে নির্ভয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে আসন্ন দুর্গাপুজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। ২) জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা ও নির্যাতন নিরোধ কল্পে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূণঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৩) একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। একই সাথে বর্তমানে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শ্রী শেখর দাশ ৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জে.এম. সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য “হিন্দু সম্মেলন” এ সর্বস্তরের হিন্দু জনসাধারণকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
অদ্য ১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুর্গাপুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটি, জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু ও একটি সংখ্যলঘু মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা শাখা এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক শ্রী রিপম দাশ শেখর, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পন্ডিত শ্রী বিজয় চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক ঋতেন দাশ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব এড. শ্রী সুদীপ্ত বিশ্বাস, শ্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, ডা. শ্রী নারায়ন দাশ, আর্মি কর্পোরাল(অব.) ডা. বি.কে তালুকদার, শ্রী নিউটন দেওয়ানজী, শ্রী শ্যামল দাশ রানা, দেবব্রত নাথ জুয়েল, শ্রী রিপন দাশ, শ্রী রূপেশ শীল, শ্রী কমল বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ সুবিধার বিধান থাকা সত্বেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সে সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গা পুজা। সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের দিকে চেয়ে থাকে। পরিবারের সবাই এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মূখ থাকে; অথচ শুধুমাত্র পুজার শেষের দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিন ১ দিন সরকারী ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। সেকারনে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সদাশয় সরকারের কাছে দুর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটি দাবী করছে। একই সংগে যেহেতু গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অজুহাতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন নিপিড়ন চলে আসছে। সেকারনে হিন্দু সম্প্রদায় এখনো আতঙ্কগ্রস্থ। আর একারনেই আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করারও দাবী জানাচ্ছে। বক্তাগণ আরও বলেন প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, জমি জমা দখল চলছে। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনই হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে এক মূর্তমান আতঙ্ক হয়ে ফিরে আসে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই শঙ্কিত। সারা দেশে যে হারে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ চলছে তাতে হিন্দু সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না। দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত থাকলেও হিন্দু নির্যাতন নিয়ে জাতীয় সংসদে কোন আলোচনা হয় নাই। সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন দূরে থাক, একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেন নাই। বিরোধীদলীয় নেত্রী প্রতিবাদ ও একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির পরিদর্শনে গেলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা রক্ষায় জাতীয় সংসদে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই। যেহেতু সরকারী দল ও বিরোধী দল এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে কোন কার্যকর ভূমিকা রাখেন নাই সেকারনে এদেশের সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য এবং এদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা দাবী করেন।
হিন্দু সম্প্রদায় মনে করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায়, জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন প্রতিনিধিত্ব না থাকার কারনে এবং রাজনৈতিক কারনেই হিন্দু সম্প্রদায় বার বার আক্রান্ত হচ্ছে। আর তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হিন্দু সম্প্রদায় দাবী করছে- ১) দুর্গা পুজায় তিন দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা করে সংবিধানে বর্ণিত সম অধিকার ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। গত চার বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কারনে অকারনে নির্যাতন নিপিড়নের আতঙ্কগ্রস্থ হিন্দু সম্প্রদায় যাতে নির্ভয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে আসন্ন দুর্গাপুজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। ২) জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচন পরবর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা ও নির্যাতন নিরোধ কল্পে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূণঃ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৩) একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে একজনকে পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগ করতে হবে। একই সাথে বর্তমানে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শ্রী শেখর দাশ ৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জে.এম. সেন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য “হিন্দু সম্মেলন” এ সর্বস্তরের হিন্দু জনসাধারণকে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।