ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০২:৫৫:৫১

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে জার্মান প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

| ৪ আশ্বিন ১৪২৪ | Tuesday, September 19, 2017

ঢাকা : জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএমজেড) উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সোমবার রাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ গ্রহণ করেন। প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম ও সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন। অপর পক্ষে বিএমজেড’র সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ড. এ্যাঞ্জেলিক স্ট্রাউডার।
বৈঠকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, জার্মান সরকার জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড-এর মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দীর্ঘ দিনের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কমিশনের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাজার হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, কমিশনের মামলায় একসময় সাজার হার মাত্র ২০ শতাংশে নেমে এসেছিল, যা ২০১৬ সলে ৫৪ শতাংশে উন্নীত হয় এবং গত আগস্ট পর্যন্ত সাজার হার প্রায় ৬৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি জানান, ঘুষ নির্মূলে কমিশন বছরের শুরু থেকেই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। এবছরে আজ পর্যন্ত ১৭টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করা হয়েছে।
ইকবাল মাহমুদ জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন এ যাবৎ ৬৪ টি জেলায় গণশুনানি করেছে। এছাড়াও কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং অর্থায়নে ইতোমধ্যেই ৬৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা স্টোর স্থাপন করা হয়েছে। এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
দুদক চেয়ারম্যান জানান, দুদকের নিজস্ব আর্মড ইউনিট গঠন করা হয়েছে এবং নিজস্ব হাজতখানা নির্মাণ এবং তা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি একটি বৈশি^ক সমস্যা। তাই কমিশন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধেই দুদক ভুটানের দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা কেপিকেসহ বেশকয়েকটি দুর্নীতিবিরোধী বিদেশি সংস্থার সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এ সময় বিএমজেড এর প্রতিনিধি ড. এ্যাঞ্জেলিক স্ট্রাউডার জার্মান সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কারিগরি সহায়তা অব্যাহত রাখার আশা ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার ড.নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব ড.মোঃ শামসুল আরেফিন, জিআইজেড এর এভি রুল অফ ল’ প্রমিতা সেনগুপ্ত, জিআইজেড এর আন্তর্জাতিক কনসাল্ট্যান্ট রিচার্ডস মাইলস, জেআরসিপি প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কৃষ্ণা চন্দ, পার্টনারশীপ ম্যানেজার মোঃ আলী রেজা প্রমুখ।