ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:০৫:০৩

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

দুদকের মামলার প্রত্যেক আসামিকে আইনের আওতায় আনতে হবে : ইকবাল মাহমুদ

| ৬ বৈশাখ ১৪২৫ | Thursday, April 19, 2018

ঢাকা : আসামিরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ালে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলার প্রত্যেক আসামিকে আইনের আওতায় অনার নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ ।
দুদক চেয়ারম্যান আজ বৃহস্পতিবার দুকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের কার্যক্রমের ওপর অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় সংস্থার কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন। সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন।
সমন্বিত জেলা কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয় এবং প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক থেকে উপপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন,‘দুদকের মামলার অনেক আসামিই আইন-আদালতে আত্মসমর্পণ না করে , আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কীভাবে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে ? আপনাদের দায়িত্ববোধ থাকলে এসব আসামিরা ঘুরে বেড়াতে পারতো না। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তের গুণগতমান এমন হতে হবে যাতে প্রতিটি মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের শতভাগ সাজা নিশ্চিত করা যায়।
প্রতারক চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসকল প্রতারকদের ধরতে হবে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে। তাই এ বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়েও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি বলেন, দুদকের গোয়েন্দা শাখা কেবল দুর্নীতিবাজদের পিছনেই নজরদারি করবে না, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়েও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্তে প্রতিটি আসামির ফৌজদারি অপরাধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরুপণ করতে হবে। একটি লোককেও হয়রানির জন্য দুদকের মামলায় আসামি করা যাবে না। সাক্ষী কিংবা অভিযুক্ত কারও সাথেই দুর্ব্যবহার করা চলবে না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ, এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, মহাপরিচালক(আইন) মো. মঈদুল ইসলাম,মহাপরিচালক (প্রশাসনন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মহাপরিচালক(মানিলন্ডারিং মো. আতিকুর রহমান খান, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মো. জয়নুল বারী, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন,বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আবু সাঈদ, পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।