ঢাকা, মে ৭, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২৩:৪৬:৫৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

দুই মন্ত্রীর অর্থদণ্ড নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

| ১৭ ভাদ্র ১৪২৩ | Thursday, September 1, 2016

কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হককে অর্থদণ্ড দেওয়া নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। এই রায় ৫৪ পৃষ্ঠার। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি আদালত অবমাননা হয়েছে মনে করলেও তিনজন মনে করেন আদালত অবমাননা হয়নি।

গত ২৭ মার্চ আদালত অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই মন্ত্রীকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায়ের আগে সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়েছিল, ‘দুই মন্ত্রীর নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন গ্রহণ করতে আমরা অপারগ। তারা মন্ত্রী, তারা সংবিধান রক্ষায় শপথবদ্ধ। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য আপাতদৃষ্টিতে উদ্দেশ্যমূলক যেখানে প্রধান বিচারপতির কার্যালয় ও সর্বোচ্চ আদালতের মর্যাদা খাটো করা হয়েছে। ..নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তাদের আবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। গুরুতর আদালত অবমাননার দায়ে তারা দোষী।’
এর আগে ৫ মার্চ ঢাকায় ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় মীর কাসেমের রায় নিয়ে কামরুল ও মোজাম্মেল প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সমালোচনা করেছিলেন। এরপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তাদের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়েছিল।

দুই মন্ত্রীর পক্ষে গত ১৪ মার্চ নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে নোটিশের জবাব দাখিল করা হয়। আদালতের তলবে ১৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক হাজিরা দেন। তবে, বিদেশে থাকায় সেদিন হাজিরা দিতে পারেননি খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২০ মার্চ ফের দুই মন্ত্রীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে ২০ মার্চ দুই মন্ত্রী আপিল বিভাগে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন আদালত এবং ২৭ মার্চ দুই মন্ত্রীকে ফের হাজিরের নির্দেশ দেন।
পরে উভয়েরই আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেন, মন্তব্যের মাধ্যমে আদালত অবমাননা করেছেন তারা। তাদেরকে সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশনকে দিতে বলা হয়। পরে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন তারা।