ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:১৩:১৫

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

দাগনভুঞার চন্দ্রনাথ পালের পরিবারের ১০ জনকে হত্যা করেছে মকবুল

| ২৮ কার্তিক ১৪২৩ | Saturday, November 12, 2016

 

c468b0319db8e0dc9014d2ff9f111fc0-58224fb64721fজামায়াতের নতুন আমির মকবুল আহমাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য অনুসন্ধানে নেমেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল দশটায় তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তদন্ত দল ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার জয়লস্কর ইউপি লালপুর গ্রামে চন্দ্র নাথ পালের বাড়িতে যান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে চন্দ্রনাথ পালের পরিবারের ১০ সদস্যসহ ১১ জনকে নির্মমভাবে হত্যার করুণ চিত্র বর্ণনা করেন তাদের স্বজনরা। একইভাবে যুদ্ধকালীন সময় মুক্তিকামী ৬৩ হিন্দু পরিবারের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও শহীদ পরিবারের স্বজনদের ওপর নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরেন তারা।
সেখানে ৭১ সালের ১১ জুন ওই গ্রামের চন্দ্র নাথ পালের বাড়ির ১০ হিন্দুসহ ১১ জনকে হত্যা করা হয়। ওই গ্রামের ৬৩ হিন্দুর ঘরে অগ্নিসংযোগ, নারী, শিশু ও পুরষদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যরাসহ পাকিস্তানি বাহিনী যুক্ত ছিল। এর নির্দেশ দাতা হিসাবে জামায়াত আমির মকবুল আহমাদকে অভিযুক্ত করেন এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধা খোকন চন্দ্র দাস বলেন, ‘শহীদের স্বজনরা ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে লালপুরের হিন্দুদের হত্যাসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রকৃত চিত্র বর্ণনা করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘হিন্দু পরিবারের ১০ জনকে ও অন্য এক মুসলিম মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে গুলি করে ফেনী শহরের সিও অফিস নামক স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পের সামনে অর্ধমৃত অবস্থায় এক গর্তে মাটি চাপা দিয়ে হত্যা করা করে।’
আন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সহকারী পরিচাক নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, প্রাথমিক সাক্ষ্যগ্রহণ ও তথ্য সংগ্রহকালে ৭১-এর ১১ জুন লালপুরে স্বাধীনতাকার্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা ও অগ্নিসংযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই বিষয় তদন্ত শেষে না হওয়া র্পন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।