ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৫:৪৩:০৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

তিন মাসের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়

| ২ ভাদ্র ১৪২৩ | Wednesday, August 17, 2016

ঢাকা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার এখন শেষ পর্যায়ে। জাতি দীর্ঘ প্রত্যাশিত এই মামলার রায় তিন মাসের মধ্যে দেখতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারি কৌঁসুলি এ কথা জানান।
এই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি কৌসুলি এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল আজ বাসসকে জানান, ‘দুইজন তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) জেরা সম্পন্ন হলেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দেয়া হবে এবং এ জন্য প্রয়োজন দুই থেকে তিন মাস।’
৪৯১ জনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ২২৪ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্পন্ন হওয়ায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় ২৪ জন নিহত এবং পাঁচ শতাধিক লোক আহত হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী আইভি রহমান।
তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই হত্যাকা- থেকে বেঁচে যান।
সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুলাই ২১ আগস্ট মামলার প্রথম চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর একটি হয় হত্যার জন্য এবং অপরটি হয় বিস্ফোরক আইনের অধীন।
চার্জশিটে ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি’র সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু এবং ২১ জন হুজি নেতা ও কর্মী।
এরপর ২০১২ সালের ৩ জুলাই ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এ বিষয়ে নতুন করে তদন্ত করে এবং ৩০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে। এ নিয়ে চার্জশিটে এ মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে।
২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের আমলে প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষার জন্য ভুল পথে তদন্ত করে। তৎকালীন সিআইডি কর্মকর্তারা তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়। এসব ঘটনা পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে এ মামলা নতুন করে তদন্তে উদ্বুদ্ধ করে।
সরকারি কৌসুলি কাজল বলেন, চার্জশিটে অভিযুক্ত ৫২ জনের মধ্যে ১৯ জন পলাতক, ৮ জন জামিনে রয়েছে এবং বাকিরা বিভিন্ন কারাগারে রয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি আবদুল হান্নান কারাগারে রয়েছে।
এই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদাবক্স চৌধুরী এবং সাবেক তিন তদন্ত কর্মকর্তা- সিআইডি’র সাবেক এসপি রুহুল আমিন, সিআইডি’র সাবেক এএসপি আতিকুর রহমান ও আবদুর রশিদ জামিনে রয়েছে।
পলাতকদের মধ্যে তারেক রহমান রয়েছে লন্ডনে, শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ব্যাংককে, হানিফ এন্টারপাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফ কলকাতা, মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন আমেরিকায়, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার কানাডায়, বাবু ওরফে রাতুল বাবু ভারতে, আনিসুল মোরসালীন ও তার ভাই মহিবুল মুত্তাকিন ভারতের একটি কারগারে এবং মওলানা তাজুল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
জঙ্গি নেতা শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মওলানা আবু বর, ইকবাল, খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে বদর ও মওলানা লিটন ওরফ জোবায়ের ওরফে দেলোয়ার, ডিএমপি’র তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) ও ডেপুটি কমিমনার (দক্ষিণ) মো. ওবায়দুর রহমান এবং খান সৈয়দ হাসানও বিদেশে অবস্থান করছে। সূত্র জানায়, এদের অধিকাংশই রয়েছে পাকিস্তানে।
তবে সাবেক অভিযুক্ত হারিছ চৌধুরীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পলাকতকদের মধ্যে মওলানা তাজউদ্দিন ও বাবু আটক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই।