ঢাকা, মে ২, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১৭:২৮:১৬

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত ১০ নব্য জেএমবি, ক্রসফায়ারে নিহত ৩

| ২৭ আশ্বিন ১৪২৩ | Wednesday, October 12, 2016

হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী

পুরনো ঢাকার হোসনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময়  হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নব্য জেএমবির ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মূল তিন পরিকল্পনাকারী পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রটি বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয় গত এপ্রিল মাসে। এরপর চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিলের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অভিযোগপত্রের অনুমোদন দিলেই তা আদালতে দাখিল করা হবে।

গত বছর ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় এক কিশোরসহ দুজন নিহত হয়। আহত হন অন্তত শতাধিক ব্যক্তি। গত বছর এহামলার মধ্য দিয়ে নব্য জেএমবি নাশকতা বিষয়ে তাদের সক্ষমতার  জানান দেয়। এঘটনায় চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালালউদ্দিন বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ। তদন্ত শেষে তিনি চার্জশিট প্রস্তুত করে তা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠান।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ‘১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা হলো- ওমর ফারুক ওরফে মানিক, চাঁন মিয়া,  মো. শাহজালাল, হাফেজ আহসানউল্লাহ মাহমুদ, কবির হোসেন ওরফে রাশেদ, আবু সাইদ ওরফে সালমান, মাসুদ রানা ওরফে সুমন,  জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসহাব, আরমান ওরফে মনির ও রুবেল ইসলাম ওরফে সজীব ওরফে সুমন। এদের মধ্যে কবির হোসেন রাশেদ, মাসুদ রানা,  আরমান ওরফে মনির ও জাহিদ হাসান রানা ওরফে মুসহাব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।’

অপরদিকে, এহামলার পরিকল্পনাকারী জেএমবির সামরিক শাখার কমান্ডার আলবেনি ওরফে হুজ্জা, আব্দুল্লাহ ও হিরন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। তাই অভিযোপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

এমামলাটির তদারকি ও তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণের উপকমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালেদ। তিনি জানান, ‘গত ২১ এপ্রিল চকবাজার থানার এমামলাটির অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শফিউদ্দিন শেখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পাঠিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অনুমোদনের পর আদালতে পাঠাবে। আমাদের আর কোনও কাজ বাকি নেই।’