ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় বহাল রাখেন। একই সঙ্গে ২৬ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিধান বাতিল করে দেওয়া ঢাবির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এঁরাই হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। শুনানি শেষে গত ৮ জুলাই বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন। রিট আবেদন খারিজ করায় ঢাবিতে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ের ফলে এখন থেকে এইচএসসি পাসের পর একবারই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আদালতে শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। সরকারপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের পর ঢাবির পক্ষের আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আপিল বিভাগের রায়ে তা বহাল থাকল। এখন থেকে ঢাবিতে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীরা একবারই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগের কারণে ঢাবির অনেক আসন খালি থেকে যায়। এটা জাতীয় ক্ষতি। এ কারণেই ঢাবি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৬ মার্চ ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চান আদালত। পরে চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ৮ জুলাই রায় দিয়ে বলেন, ঢাবির সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। পরে রিট আবেদনকারীরা লিভ টু আপিল করেন। মিনারা বেগম, রুহুল আমিনসহ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার ভর্তীচ্ছু ছাত্রছাত্রীর ২৬ জন অভিভাবক এই রিট আবেদন দায়ের করেন। ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।