ঢাকা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ১০:৪৬:১২

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

ঢাবিতে আম পাড়তে গিয়ে ছাত্রের মৃত্যু

| ২৯ বৈশাখ ১৪২৫ | Saturday, May 12, 2018

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ থেকে আম পাড়ার পর শেখ ওমর তৌফিক। ছবিটি তাঁর ফেসবুক থেকে নেওয়া।

দুই হাতভর্তি আম নিয়ে গত ৩ মে নিজের ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র শেখ ওমর তৌফিক। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আম আর আম। আমের রাজ্যে পৃথিবী মোহ ময়। তবে আমের কথা আর নাহি লিখি। এবার আপনারা বলুন, কে কোন হাতের আম চান?’

সেই আম পাড়তে গিয়েই প্রাণ গেল তৌফিকের। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের একটি আমগাছ থেকে পড়ে আহত হন তিনি। আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

তৌফিকের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদদীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।

তৌফিকের মৃত্যুর বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন ওই হলের জ্যেষ্ঠ আবাসিক শিক্ষক মাহামুদুল হাসান।

তৌফিকের বন্ধু হোসেন আলী জানান, মঙ্গলবার রাতে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন একটি গাছে আম পাড়তে ওঠেন তৌফিক। এ সময় হঠাৎ পা পিছলে নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা খারাপ দেখে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দুপুরে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

তৌফিকের বন্ধু জানান, তৌফিক একা একা আম পাড়তেন না। সঙ্গে বন্ধুরাও থাকতেন। আম পাড়া শেষে সেগুলো হলের বড় ভাইদেরও দিতেন।

এ নিয়েও ৩ মে রাতে ফেসবুকে চারটি ছবিসহ আরেকটি পোস্ট দেন তৌফিক। সেখানে লিখেন, ‘মধ্যরাতে আম পাড়ার মজাই আলাদা। আজ সাতজন বন্ধু মিলে এক মণ প্লাস আম পেড়ে হলের সব ভাইদের দিয়েছি এবং অনেকে তাদের ইয়ে মানে ইয়েদের জন্য আম সংরক্ষণ করে রেখেছে। যদি তাদের ইয়ে মানে ইয়ে এই পোস্টটি পড়ে থাকেন, তবে আপনার প্রাপ্য আম চেয়ে নিতে ভুলবেন না!!!

বি: দ্র: ঢাবিতে আমের বাম্পার ফলন!!!!! (তৌফিক)’