মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। রাখা হয়েছে কনডেম সেলে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর সরকারের নির্দেশে আসামীর দণ্ড কার্যকর করা হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালে মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে নিজামী আপিল করলে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির আদেশ বহাল রাখের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এরপর নিজামীর আইনজীবীরা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। গত ৫ মে নিজামীর করা রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার পর নিজামীকে ফিরিয়ে নেওয়া হয় কাশিমপুর কারাগারে।
রোববার রাত ১২টার কিছু আগে পুলিশি পাহারায় তাকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
প্রিজন ভ্যানে আনার কথা থাকলেও নিজামীকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়। মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামীদের জন্য কারা অভ্যন্তরে নির্ধারিত কনডেম সেলেই নিজামীকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। সে সময় কারাগারের বাইরে স্বাভাবিক যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে তাই ছিল বলে জানায় পুলিশ।
চকবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম অর রশীদ তালুকদার বলেন, একজন কয়েদিকে এক জেল থেকে অন্য জেলে স্থানান্তর করা হতেই পারে। কয়েদিদের বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে স্থানান্তর করা হয়। সে হিসেবেই নিজামীকেও স্থানান্তর করা হয়েছে। জেলগেটের বাইরে যে সার্বক্ষণিক যে নিরাপত্তা দেয়া হয়, নিজামী আসার আগে-পরেও সেভাবেই নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রাণভিক্ষার আবেদন না করলে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর আসামীর দণ্ড কার্যকরের দিন তারিখ ঠিক হবে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।