বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধনে ড. হাছান মাহমুদ। ছবি-যুগান্তর
ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যের আহ্বায়ক নয়, তিনি এখন প্রকৃতপক্ষে বিএনপির চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন প্রকৃতপক্ষে জাতীয় ঐক্যের নামে তারেক রহমান আর খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসনের দায়িত্বপালন করছেন। আজকে এটিই হচ্ছে বাস্তবতা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, তাদের এই দাবির মূল কথা হচ্ছে সংসদ বাতিল করতে হবে। সংসদ বাতিল করলে বাংলাদেশে একটি সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে এতে অপশক্তি কিংবা তৃতীয় শক্তির আবির্ভাব ঘটার একটা সুযোগ তৈরি হবে। সুতরাং, তারা নির্বাচন চায় না। তারা দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি করার মাধ্যমে তৃতীয় শক্তিকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে, যারা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা পরিচালনা করেছে, যারা মিথ্যা জন্মদিন পালন করে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ কোনোভাবেই হবে না। এই সংলাপের কোনো ভিত্তি নেই এবং এই সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। সুতরাং, সংলাপ যদি দরকার হয় এবং তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তারা কথা বলতে পারে।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যের নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ছয় কিংবা সাত সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন।
আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি চিত্রনায়িকা ফারহানা আমিন নতুনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।