ঢাকা : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নারীর ক্ষমতায়ন, সমসুযোগ, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারী-পুরুষ সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৬ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৬’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সভ্যতার উষালগ্ন থেকে শুরু করে সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার হিসেবে সৃজনশীল এবং উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে পুরুষের পাশাপাশি নারী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের সর্বস্তরে নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৬’ এর মূল প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’ যথার্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আজকের সমাজে যে পরিবর্তন এবং উন্নয়ন হয়েছে তা পুরুষের একার চেষ্টায় নয়, বরং নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। অগ্রযাত্রার এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।
আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ও নেতৃত্বে নারী উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্রবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, শান্তিরক্ষা মিশনসহ সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশ ক্রমান্বয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় নারীর ক্ষমতায়নে শক্ত ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে নারী ক্ষমতায়নে একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সকলের প্রত্যাশার সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠবে সমঅধিকার সম্পন্ন একটি বাসযোগ্য পৃথিবী।