ঢাকা, মে ৫, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৩:১১:২৪

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

ঝিনাইদহে পুরহিত শ্যামানন্দ দাস হত্যার ঘটনায় পরিদর্শণে হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দ।

| ১৯ আষাঢ় ১৪২৩ | Sunday, July 3, 2016

ঝিনাইদহে সেবায়েত হত্যার স্থল পরিদর্শণ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাস চন্দ্র সাহা ঝিনাইদহ জেলা হিন্দু মহাজোটের নেতৃবৃন্দ গতকাল শনিবার সকাল ১১.১৫ মি. এ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতা ঝিনাইদহ সদরের উত্তর কাষ্টাসাগড়া গ্রামের শ্রী শ্রী রাধা মদন গোপাল মন্দিরে পৌছান সেখানকার ভক্তবৃন্দের সংগে দেখা করে তাদের খোজ খবর নেন এবং শোসন্তপ্ত সাধুদের সান্তনা দিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, গত শক্রবার ভোড় ০৫.৩০ এ এই মন্দিরের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস দেয়ালের বাইরে ঢাকা-খুলনা মহা সড়কের পাশে পুজার জন্য ফুল তুলতে যান। এ্ই সময় মটর সাইকেল আরোহী তিন দুর্বৃত্ত এসে সেবায়েতের মাথা এবং ঘাড়ে ধারোলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।  একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মন্দিরের পাশের বাড়ির বাটুল রায়ের স্ত্রী দীপালী রায় (৪০) জানান, ‘শ্যামানন্দ বাবাজীকে দেয়ালের পাশের ফুল গাছ থেকে ফুল তুলতে দেখি। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, এতো সকালে তুমি কোথায় যাচ্ছ ? তার সাথে কথা বলে কিছুদুর যেতেই একটি মটর সাইকেল এসে দাড়ায়। মটর সাইকেল থেকে তিন জন আরোহী নেমেই তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাজীকে কুপাতে থাকে। বাবাজীর শব্দ শুনে পিছনে তাকাতেই লোকগুলো তাদের হাতের অস্ত্র উচিয়ে আমাকে ভয় দেখালে আমি ভয়ে দিকবিদিক হারিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে লাফ দেই। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারব না।’’
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সুবাস চন্দ্র সাহা মন্দিরে পৌছালে মন্দিরের অপর পুরোহিত গোষ্ট গোপাল অধিকারীসহ ভক্তরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা জানান, আমরা এখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত আছি। এই সময় এএসআই অশোক এর নেতৃত্বে চার পুলিশের একটি দল মন্দির গেটে পাহাড়া রত ছিল। তা ছাড়া স্থানীয় কোন চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান বা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কাউকেই দুপুর ২ টা পর্যন্ত দেখা যায় নাই। হিন্দু মহাজোট নেতা উপস্থিত ভক্তবৃন্দ এবং পুরোহিতদের অভয় দেন, এবং মহাজোট তাদের পাশে থেকে সব ধরনের সেবা করবেন বলে জানান। সুবাস সাহা বলেন, ‘আপনারা ভীত হবেন না। মনে রাখবেন, হিন্দুরা সংখ্যা লঘিষ্ঠ হলেও সংখ্যায় তারা দুর্বৃত্তদের চেয়ে অনেকগুন বেশী। আপনার ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করবেন। জননত্রেী শেখ হাসিনার সরকার আমাদের পাশে থাকবে। তবে স্থানীয় প্রশাসন যদি খুনি ধরতে কোন প্রকার গড়িমসি করেন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আন্দোলন করা হবে।’ সুবাস সাহা প্রায় ১২ একর জমির উপর নির্মিত মন্দিরের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শণ করেন এবং যেখানে সেবায়েত শ্যামানন্দ বাবাজী-কে খুন করা হয়েছিল সেখানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের কথা জানান। এ বিষয়ে তিনি তিন সদষ্যের একটি কমিটি গঠন করে তাদের উপর দায়িত্ব দেন স্তম্ভটি করার জন্য। মন্দিরের পুরোহিতকে ধর্মীয় কার্যাদি সম্পাদনের জন্য কিছু নগদ টাকা প্রদান করেন। ভবিষ্যতে তিনি এখানে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এই সময় তার সংগে ছিলেন হিন্দু মহাজোট ফরিদপুর জেলার আহবায়ক শিবু প্রসাদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক গণ সংহতির সম্পাদক বিমান পোদ্দার, দৈনিক পুনরুত্থানের ফরিদপুর জেলা ব্যুরো চীফ মিজান-উর-রহমান, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মলয় কুমার বোস, মধুখালী উপজেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোটের দীলিপ কুমার গুহ, ঝন্টু ঘোষ, নারয়ন চন্দ্র দাস, কৃষ্ণ কুমার সরকার, মো. আসলাম মিয়া, গোবিন্দ সাহা, সুজন সাহা প্রমুখ।