ঢাকা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০৬:০৯:২৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি হিসেবে ফের নিয়োগ পেলেন বিপ্লব বড়ুয়া সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে সংসদ ভবন ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ আপিলে দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৫১ জন নির্বাচনে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি সেনাবাহিনী চায় ইসি : পিএসও আদালত আবমাননায় বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার : ডিএমপি নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হবে কিনা, জানালেন ইসি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির

| ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ | Thursday, June 2, 2016

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনের ধার্য তারিখে আজ আদালতে হাজির হয়েছেন।

বেলা ১১টার দিকে তিনি এজলাস কক্ষে উপস্থিত হন। এ সময় বকশীবাজার এলাকায় অস্থায়ী বিশেষ আদালতের আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করার দিন পিছিয়ে দিতে আদালতে আবেদন পেশ করা হয়েছে। এ আবেদনের শুনানি চলছে।
গত ১৯ মে এক আদেশে আদালত বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২জুন তারিখ ধার্য করে।
ঢাকার বকশীবাজার এলাকার উমেশ দত্ত রোডে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনের অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ মামলার বিচার চলছে। এ মামলায় খালেদা জিয়া আজ হাজির না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও আদালত উল্লেখ করেছিলো।
গত ১৯ মেও খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি ওইদিন আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মামলার কার্যক্রম পেছাঁতে সময়ের আবেদন জানায় তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে আজ ২ জুন মামলার তারিখ পুননির্ধারণ করে আদেশ দেয় আদালত।
এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এছাড়াও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ উল্লেখিত দুই মামলায় খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩।
এদিকে আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে আসামিপক্ষের জেরার জন্য ধার্য রয়েছে।