ঢাকা: রাজধানীতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে এ ঈদ জামাত। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদসহ বিশিষ্টজনেরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
সে লক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘেœ নামাজ আদায় করতে পারেন সে জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শাহিনা খাতুন বলেন, জাতীয় ঈদগাঁহে ঈদ জামাত আয়োজনের ৯৫ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে পুরো মাঠ জুড়ে বাঁশের কাঠামোর উপর ত্রিপোল ও সামিয়ানা টাঙ্গানো এবং প্রায় দু’শ মুসুল্লি যেন একসঙ্গে অজু করতে পারে, সে লক্ষ্যে ওজুখানার প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
মুসল্লিদের জন্য এবার আড়াই লাখ বর্গফুটেরও অধিক এলাকায় নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এর মধ্যে মহিলাদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। ঈদগাহ ময়দানে এবার ৫ থেকে ৭ হাজার মহিলা মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন বলেও তিনি জানান।
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি ও কূটনৈতিকগণ এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন উল্লেখ করে এ আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পুরো ঈদগাঁহ মাঠ ও এর আশেপাশের এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। লাগানো হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। থাকবে ডগ স্কোয়াড ও উচ্চ প্রযুক্তির মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারে তল্লাসির ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, মাঠে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ডিএমপির পক্ষ থেকে রয়েছে আলাদা ক্যামেরা ও কন্ট্রোল রুম। এছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। বিশেষ নিরাপত্তায় আরো থাকবে পুলিশের স্পেশাল উইপন অ্যান্ড ট্যাকটিক্স (সোয়াট) টিম।
শাহিনা খাতুন বলেন, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায়।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ার সরদার এ্যান্ড সন্স এর স্বত্ত্বাাধকারী মোজাম্মেল হক জানান, ঈদ জামাতের জন্য ঈদগাহ মাঠ এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ২৯ রমজানের দিন নামাজ আদারে জন্য ফ্লোরে মাদুর, কার্পেট, জায়নামাজ ইত্যাদি বিছানোর কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ ধারায় বৃষ্টি হলে ঈদগাহে নামাজের কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। কিন্তু ৩/৪ ঘন্টা মুশলধারে বৃষ্টি হলে তখন পানি নিষ্কাশনের জটিলতার কারণে নামাজ আদায় সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বায়তুল মোকাররমে।