গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মূল হোতা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরী ও হিযবুত তাহরীরের সদস্য মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়াউর রহমানকে ধরিয়ে দিতে পৃথকভাবে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দফতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজি এ এক এম শহীদুল হক এই ঘোষণা দেন।
এ এক এম শহীদুল হক বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা, শোলাকিয়ায় হামলা ও কল্যাণপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা গেছে এটির পুরো মূল পরিকল্পনাকারী জেএমবির তামিম আহমেদ চৌধুরী ও হিজবুত তাহরীর সদস্য চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। জিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একারণে তাদের ধরিয়ে দেয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করছি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর হিযবুত তাহরীর সদস্য মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়া সেনাবাহিনীর এক ব্যর্থ অভ্যুত্থান ঘটান। এরপরই মেজর জিয়া পালিয়ে যান।
মেজর জিয়ার নেতৃত্বে হিযবুত তাহরীর একটি বড় অংশ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে। এরই ধারাবাহিকতায় মেজর জিয়া গোপনে মোহম্মদপুরে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান সমন্বয়ক জসিমুদ্দিন রাহামানির সঙ্গে দেখা করেন। ২০১২ সালে বরগুনা থেকে জসিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হলে হিযবুত তাহরীর গোপন পরিক্ল্পনা ফাঁস হয়। এর আগে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হিযবুত তাহরীকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরে এই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর গোলাম মাওলা, ডক্টর মহিউদ্দিনসহ প্রায় ৫০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ডক্টর মহিউদ্দিনসহ বেশিরভাগ নেতাকর্মীর জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
অপরদিকে গত ১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলার সঙ্গে জেএমবি ও হিযবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তামিম আহমেদ চৌধুরীকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।