ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ০১:২৬:২৭

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

জঙ্গি শামীমের জবানবন্দি প্রকাশক দীপনকে হত্যার নির্দেশ দেয় সেলিম ওরফে হাদি

| ১৬ ভাদ্র ১৪২৩ | Wednesday, August 31, 2016

 

নিহত দীপন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতের অভিযোগে গ্রেফতার মইনুল হাসান শামীম

ব্লগার ও প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে নাসির ওরফে ইমরান নামে এক জঙ্গি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (বর্তমানে আনসার আল ইসলাম) এই সদস্য রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে জবানবন্দিতে দীপন হত্যাকাণ্ডের পুরো পরিকল্পনা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাংগঠনিক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণসহ বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে।

একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া সহযোগীদের নামসহ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষক ও মূল হোতা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার নামও বলেছে। গত ২৩ আগস্ট সিফাতকে টঙ্গির চেরাগ আলী এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরুক খালেদ যুগান্তরকে বলেন, ওই আসামি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার কাছে প্রাপ্ত তথ্যগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি যারা এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

আদালত সূত্র জানায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সিফাত বলেছে, সেলিম ওরফে হাদী ভাই নামে একজন আমাদের বলে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে প্রকাশক দীপন ও লালমাটিয়ার শুদ্ধস্বর প্রকাশক টুটুলকে হত্যা করতে হবে। সেই অনুযায়ী আমরা প্রকাশক দীপন ও টুটুলকে হত্যা করার প্রস্তুতি নিতে থাকি। তখন ওই দুটি কাজের জন্য মারকায (ভাড়া করা মেস) ছিল টঙ্গির বর্ণমালা রোডে। সেখানে ছিল আকাশ, আলম, রাফি, তৈয়ব, রায়হান ওরফে রফিক ও শিহাব। আমাদের কাছ থেকে সুজন ওরফে সামাদ টঙ্গির বর্ণমালা রোডের মারকাযে চলে যায়। ঐ মারকাযে প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিল সুজন ওরফে সামাদ। আমি দুই-তিন দিন ঐ মারকাযে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, সেলিম ভাই মারকাযে এসে প্রশিক্ষণ দিত, তদারকি করত এবং টার্গেটের ছবি ও অপরাধ দেখাত এবং হত্যা করার নির্দেশ দিত।

দীপন ও টুটুলদের হত্যার ২০ দিন আগে একদিন সেলিম ভাই আমাদের মারকাযে নিয়ে আসে এবং আমাদের বলে দীপন ও টুটুল হত্যার কাজ শিগগিরই করতে হবে। সে আরও বলে, দীপনকে হত্যা করার আগের ৭ দিনের মধ্যে আমি নিজে ২ দিন আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা রেকি করি। একদিন আকাশকে এবং অন্য দিন আসাদকে সঙ্গে নিয়ে আমি ঐ এলাকায় রেকি করি। সেলিম ভাইয়ের নির্দেশ মতো আমি নিয়মিত মারকাযের রিপোর্ট দিতাম।

প্রকাশক দীপনকে হত্যার জন্য ৫টি চাপাতি সেলিম ভাই তৈয়বের মাধ্যমে মহাখালী মারকাযে আমাদের নিকট পাঠায়। পিস্তল ও গুলি সেলিম ভাই নিজে মারকাযে এসে দিয়ে যায়।