ঢাকা, মে ৬, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, স্থানীয় সময়: ২০:০৮:৩৯

এ পাতার অন্যান্য সংবাদ

একীভূত হতে চাওয়া ব্যাংকের সম্পদের দাম যেভাবে নির্ধারণ করা হবে টেলিভিশন ও অনলাইন সাংবাদিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি বিএফইউজে’র দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিএনপির মাথাব্যথার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের বিএনপি একটি রাজনৈতিক দৈত্যের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি বজায় রাখার জন্য যা-যা করার আমরা করবো: বান্দরবানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবারের ঈদ যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট শিশুদের নতুন করে বাঁচার পথ খুলে দেয় : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫ আসন্ন পবিত্র রমজানে সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে নিঃস্বার্থ সেবা দেয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

জঙ্গিবাদের পরামর্শদাতা অর্থদাতাদের ছাড় দেয়া হবে না : শেখ হাসিনা

| ২ শ্রাবণ ১৪২৩ | Sunday, July 17, 2016

বাংলাদেশ সর্ম্পকিত

জঙ্গিবাদের পরামর্শদাতা অর্থদাতাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাঙলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গোলিয়ার আসেম সম্মেলন থেকে ফিরে এসে রবিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় সন্ত্রাবিরোধী, জঙ্গিবাদবিরোধী। বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় এর বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে। যারা যার অবস্থানে থেকে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।” ঢাকার গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সাম্প্রতিক দুটি জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, যাদের কোনো অভাবে নেই, ভালো খায়, ভালো পড়ে, তারাই এখন জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে।”যেখানে তাদের জন্য কোনো কিছুই অপূরণীয় থাকে না, সেখানে কেন তারা এটা করছে, এর যৌক্তিকতা কী?”তারা এখন বেহেস্তের হুর পরী পাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, এর কী যৌকিক্ততা? কারা তাদের পেছন থেকে উসকাচ্ছে?”এই তরুণদের কারা অস্ত্র দিচ্ছে, কারা অর্থ যোগাচ্ছে, তাদের তথ্য সম্মিলিতভাবে খুঁজে বের করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মানুষ খূন করলে বেহেস্তের দড়জা খোলে না।” আরও হামলা হতে পারে- সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক সাংবাদিক জানতে চান, এ বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না। উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিবাদকে একটি বৈশ্বিক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, “একবার যখন ঘটেছে, এরা তো বসে থাকবে না, ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে।”জঙ্গিবাদের বিষয়ে সচেতনা তৈরিতে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকে দেশের প্রতিটি এলাকায় কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোরে সাম্প্রতিক এশিয়া-ইউরোপ (আসেম) শীর্ষ সম্মেলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় উলানবাটোর থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। এর আগেও বিদেশ সফরের পর বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে বিদেশ সফরের বাইরেও দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে গুলশানে দেশের নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেও এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসেম সম্মেলনে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। ফ্রান্সের নিসে জঙ্গি হামলার নিন্দা প্রকাশ করার পাশাপাশি হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি। তুরস্কে সম্প্রতি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার প্রেক্ষাপটে বলেন, বাংলাদেশ সবসময় অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা যাওয়ার বিপক্ষে। আসেম সম্মেলনের সাইডলাইনে জার্মানির চ্যান্সেলর ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গুলশান হামলায় নিহতদের বিষয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। তাদের গুলশান হামলার তদন্তের অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাইকা তাদের কাজ অব্যাহত রাখবে। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশি প্রবাসীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়া সম্মেলনে জার্মানির প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট জোহান স্নাইডার, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট তিন কিয়াও ও মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রপতি সাখিয়াগিন এলবেগদর্জের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করেছেন।