চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের ভাংচুর করা জানালার একাংশ। ছবি: যুগান্তর
এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ করতে না পেরে কুমিল্লার চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজে ভাংচুর চালিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজটিতে এ হামলা চালায় ছাত্রলীগের ব্যানারে কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীসহ বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীরা।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ১৫/২০ লোক হঠাৎ কলেজের মেইন গেইটের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাতে মুঠোফোনে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম ভূইয়া জানান, ২০১৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আমরা ১৭৯জন শিক্ষার্থীর টেস্ট পরীক্ষা গ্রহণ করি। এতে ১৬জন শিক্ষার্থী এক বিষয়ে ও ১৭জন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।
তিনি আরও জানান, অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অনুরোধে আমরা কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার তাদের পুণ:পরীক্ষা গ্রহণ করি এবং ওই পরীক্ষায় মাত্র ৪জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। দুপুরে চান্দিনা উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ নেতা কাউসার, অভি, রাকিব এর স্বাক্ষরিত ১৯জন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের নাম ও রোল নম্বর লিখা একটি কাগজ আমার হাতে দিয়ে তাদের ফরম পূরণ করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু আমি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া তাদের নিদের্শ না রাখায় কলেজের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীরা সন্ধ্যায় কলেজে এ হামলা ও ভাংচুর চালায়। এতে কলেজের অফিস ও লাইব্রেরীর জানালা, থাই-গ্লাস, ৬টি বৈদ্যুতিক লেম্প পোষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এদিকে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে রাকিব অভি ও রবি জানান, আমরা ১৯জন ছাত্রকে ফরম পূরণ করার জন্য আবেদন করি, কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষ আমাদের ছাত্রলীগের একজন শিক্ষার্থীরও ফরম পূরণ করে নাই, তাই হামলার ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
রাতে চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।